যোগ্যকে স্বীকৃতি দিয়ে আর‌ও ভালো পরিসেবার পথ সুগম করলেন মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলার পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা আজ‌ও দেশকে পথ দেখায়। এখানে যে সুসংহত পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা আছে ও প্রতিটি স্তরের পৃথক দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া আছে তা কার্যত নজিরবিহীন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান পঞ্চায়েতি ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করছে।

মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত প্রধান বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের প্রশংসা করলে তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই আরও উৎসাহিত হন। এতে সাধারণ মানুষ আর‌ও ভালো পরিষেবা পায়।সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আসানসোলের সভা থেকে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ বিধানসভার শসঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রকাশ ঘোষের নাম উল্লেখ করে তাঁর কাজের প্রশংসা করেন।

বলেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান ভালো কাজ করেছে। দুর্নীতি ঠেকাতে তিনি জেলা পরিষদের মাধ্যমে টেন্ডার করিয়ে এলাকার সব কাজ করছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শসঙ্গা দিয়ে যে বালির গাড়িগুলো যায় তাদের থেকে রয়্যালটি আদায় করে পঞ্চায়েত সরকারি কোষাগারে জমা করে বলেন জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা থেকে স্পষ্ট এই রাজ্যের অন্যতম মডেল পঞ্চায়েত হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত শসঙ্গা।

রাজ্যের পৃথক পরিচিতি চান মুখ্যমন্ত্রী, শহরের অটো রাঙাবে নীল-সাদায়

খোদ মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েতের কাজের প্রশংসা করায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তরা যে উৎসাহিত হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এতে প্রকাশ ঘোষরা যেমন ভালো কাজের স্বীকৃতি পান তেমন‌ই তাঁদের দায়িত্ব আর‌ও বেড়ে যায়। ফলে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি আরও ভালো কাজ করবে। এতে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবে আমজনতা।

ভালোকে ভালো বলার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যি অনন্য। যোগ্যকে তিনি বরাবরই স্বীকৃতি দেন। এতে মানুষ আসল কাজের লোকগুলোর কথা যেমন জানতে পারে তেমনই ভালো পরিসেবাও পায়।

সম্পর্কিত পোস্ট