শেষের পথে মাঝেরহাট ব্রিজ পুনর্নির্মাণের কাজ, পরিদর্শনে ফিরহাদ হাকিম

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ   ভেঙে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজ নতুন করে নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। রবিবার যাওয়া এবং আসা দুই অংশেই বিটুমিন ও কংক্রিট করে হেভিওয়েট রোলার চালিয়ে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করালেন পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা।

বজবজ লাইনের উপরে ব্রিজের ঝুলন্ত অংশের ‘সেফটি-সিকিউরিটি’ সার্টিফিকেট এবং বহন ক্ষমতা পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে রেলকে চিঠি পাঠিয়েছিল পূর্ত দফতর। রেলের তরফে সেই সবুজ সংকেতও এসে গিয়েছে।

রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানালেন, ‘ভারবহন ক্ষমতা টেস্ট ও দু’পাশের কেবল ফিক্সড সম্পূর্ণ করলে ব্রিজ চালু করা হবে।কেবল ফিক্সড নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়াররা খুবই সতর্ক এবং সুক্ষ্ম নজরদারির মধ্যে কাজ হচ্ছে।’

রেলের সেফটি ও সিকিউরিটি সার্টিফিকেট পেলে ব্রিজটি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ে। প্রাণ হারান ৫ জন যাত্রী এবং আহত হন বেশ কয়েকজন। পূর্ত দপ্তরকে নতুন উড়ালপুল তৈরির দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bihar-election-result-sushil-modi-met-nitish-kumar/

সেই থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাসদর আলিপুর ও জেলা আদালতের সঙ্গে নিত্যদিনের যোগাযোগ করতে আজও মানুষকে নাকাল হতে হচ্ছে।

ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ ও নামখানা থেকে কলকাতা বা আলিপুরে পৌঁছতে নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় এক ঘন্টা অতিরিক্ত সময় লাগছে। বাসগুলিকে তারাতলা থেকে কখনও হাইড রোড তো কখনও রিমাউন্ট রোড বা গার্ডেনরিচ ফ্লাইওভার হয়ে পৌঁছতে অনেক সময় লাগছে।

যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রায়শই। ফলে দুই তিন ঘন্টা আটকে থাকতে হচ্ছে বলেই নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ।

কিন্তু রেলের অনুমতির জন্য কাজ শুরু করতেই লেগে যায় নয় মাস। গত মার্চ মাস থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনমাসের বেশি নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ধাঁচে ২৫০ কোটি খরচে ৬৫০ মিটার দীর্ঘ এই নতুন মাজেরহাট ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। নতুন মাজেরহাট ব্রিজটি চার লেনের।

নতুন এই ব্রিজটির ২২৭ মিটার অংশ কেবলের মাধ্যমে ঝুলন্ত অবস্থায় তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ মিটার ব্রিজ রেলের লাইনের উপরে ঝুলছে। রেল লাইনের মাঝখানের পুরোনো পিলার তিনটি শীঘ্রই ভেঙে ফেলা হবে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bihar-election-result-nitish-kumar-said-last-election-and-bjp-emerge-as-bihar-powerful-party/

পূর্ত দফতরের ভারপ্রাপ্ত শীর্ষকর্তা জানান, ‘নতুন ব্রিজের নির্মাণ শেষ হওয়ার পরেও ভারবহন ক্ষমতা ও কেবল ফিক্সড করাটা আরও কঠিন কাজ। সেটাই এখন বাকি।

ব্রিজটি চালু হলে ফের কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও শহরতলির যাতায়াত আগের মতই অনেক সহজ হয়ে যাবে। কয়েকদিনের মধ্যেই পূর্ত দফতর লোড টেস্টিং করার কাজ শুরু করবে’।

উল্লেখ্য, নতুন ব্রিজের ভারবহন ক্ষমতা সর্বাধিক ৩৮৫ টন। পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, মালভর্তি অনেকগুলি ট্রাক একসঙ্গে ব্রিজের উপর তুলে ভারবহনের পরীক্ষা করা হবে।

যখন সর্বাধিক লোড হবে তখন কেবলের সম্প্রসারণ এবং ভারহীন অবস্থায় কতটা সংকোচন হয় তা বিশেষ মানের সেন্সর লাগিয়ে পরীক্ষা করবেন পূর্ত দপ্তরের বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়াররা।

সেতুটি চালুর পরেও এই সেন্সর ২৪ ঘণ্টাই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা। ২৫ নভেম্বর ব্রিজটি চূড়ান্ত পরিদর্শনে ফের আসবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে দুই বছরেরও বেশি সময়। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ার পর নতুন করে তৈরি করা হয়েছে মাঝেরহাট ব্রিজ। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/massive-fire-in-tapsia-kolkata/

তাই শেষ মুহূর্তে হাল-হকিকত খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে মাঝেরহাট ব্রিজে হাজির হন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য-প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।

ব্রিজ ঘুরে দেখে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই চালু হোক ব্রিজ, তাঁরা সেই দিনেরই অপেক্ষায় আছেন।

এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, যখন মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে গিয়েছিল আমি সেখানে ছিলাম। চারিদিক স্তব্ধ, সে এক অন্ধকারময় অভিশপ্ত দিন। আজ আমি পুনঃনির্মিত মাঝেরহাট ব্রিজকে দেখে আনন্দে উৎফুল্ল। আমরা সবাই অপেক্ষা করে আছি আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের হাত দিয়ে এই ব্রিজের শুভ সূচনার।

সম্পর্কিত পোস্ট