অনলাইনেই মেটানো যাবে অকৃষি জমির খাজনা
দ্য কোয়ারি ওয়েলবডেস্কঃ আগামী বছরে গোড়া থেকে অকৃষি জমির খাজনা অনলাইনে মেটানো যাবে । ভূমি দপ্তর এর পোর্টাল ‘বাংলার ভূমি’তে এই নতুন পরিষেবা যুক্ত করা হচ্ছে বলে ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরিষেবা চালু হলে কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকা করদাতারা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি ভূমির রাজস্বের পরিমাণ বাড়বে বলে দপ্তরের তরফে আশা করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগেই রাজ্যের সব কৃষি জমির খাজনা মকুব করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু বাস্তু বা ব্যবসায়িক জমির ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু কর্মীর অপ্রতুলতার কারণে খাজনা আদায় ব্যাপক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
ভূমি দপ্তরের তরফে বছরে একবার বিভিন্ন এলাকায় শিবির করে খাজনা আদায় করার ব্যবস্থা করা হলেও বহু মানুষ বিভিন্ন কারণে সেখানে উপস্থিত হতে পারছেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনলাইনে খাজনা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা আনতে চলছে রাজ্য সরকার। নতুন ব্যবস্থা সুচারু ভাবে সম্পন্ন করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের।
রেশন তুলতে ‘নমিনি’ পরিষেবার সুযোগ
কীভাবে জমা দিতে হবে টাকা? প্রথমে ইন্টারনেটে ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালে ঢুকে সিটিজেন সার্ভিসে লগ ইন করতে হবে। সেখানে পাবলিক রেজিস্ট্রেশন ফর্মে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও ই-মেল অ্যাড্রেস লেখার জায়গা রয়েছে। এরপর জমির মৌজা, দাগ ও খতিয়ান নম্বর দিলে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় কোন ব্যক্তির কত খাজনা বাকি, তা দেখা যাবে। সেখানে অনলাইনে টাকা জমা দিলে মিলবে রসিদ।
খাজনার রসিদ হারিয়ে গেলেও কোনও ঝক্কি পোহাতে হবে না। কারণ, এই ওয়েবসাইটে নিজের ইউজার আইডি দিয়ে ঢুকলে আগের দেওয়া খাজনার হিসেবনিকেশ জানা যাবে। বিভিন্ন জেলার একাধিক ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসের পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে ঘুঘুর বাসা ভাঙতে অনলাইন ব্যবস্থাকে বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যে অনলাইনে জমির মিউটেশন, রেকর্ড ও কনভার্সনের আবেদন করার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এমনকী ই-ভূচিত্র অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্লকের জমির রেকর্ডের তথ্য পর্যন্ত এখন সাধারণ মানুয়ের হাতের মুঠোয়। নতুন বছরে নয়া অনলাইন পরিষেবায় রাজ্যবাসীর হয়রানি আরও কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।