মমতার ধর্না ও নিজাম প্যালেসের বাইরে জনরোষের রিপোর্ট যাচ্ছে দিল্লিতে: CBI

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: নারদ কান্ডে 4 হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চলছে। সোমবার তাদের গ্রেফতারের পর এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে CBI দপ্তরে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হোন। এর পরেই বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সর্মথকরা নিজাম প্যালেস এর বাইরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে থাকে।

রাজভবনের সামনে ও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কর্মী-সমর্থকরা। সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে জনরোষের বিস্তারিত ছবি এবং খবর পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও  প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে মঙ্গলবার পাঠানো হবে সেই রিপোর্ট।

টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর। নিশানা করেন টুইটে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। গোটা ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল এবং বিজেপি নেতৃত্বরা।

একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দিন এফআইআর দায়ের করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার দাবি নির্বাচনে একাধিক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে ভোট পরবর্তী হিংসার রাজ্যজুড়ে অব্যাহত।

একই সঙ্গে এ দিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। বিজেপি নেতৃত্বদের কথায় এই 4 হেভিওয়েটকে সিবিআই গ্রেফতারের পিছনে বিজেপির কোন হাত নেই। গোটা বিষয়টি প্রশাসনিক। অহেতুক রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে।

সোমবারই হাইকোর্টকে সিবিআই জানিয়েছিল তারা কাজ করতে পারছেন না। নিজাম প্যালেস এর বাইরে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছে জনরোষের সেই বিশৃংখল ছবিকে হাতিয়ার করেই আবেদন জানানো হয়।

2017 সালের ঘটনা ও মনে করিয়ে দেয় সিবিআই। তারা জানান প্রতিবাদ তদন্ত করতে নামলেই বিভিন্নভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিজাম প্যালেস এর ভিতর ঝর্ণা এবং বাইরে কর্মী-সমর্থকদের বিশৃংখলার ছবি বিস্তারিত পাঠানো হবে আদালতে। পাঠানো হবে ভিডিও ফুটেজ।

প্রসঙ্গত সোমবার নিম্ন আদালতে জামিনের পর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় সিবিআই। সেখানেই হেভিওয়েট 4 অভিযুক্তকে বুধবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সোমবার গভীর রাতে তাদের প্রেসিডেন্সি জেলে আনা হয়।

নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরহাদ হাকিম। শোভন চট্টোপাধ্যায়, জানান তিনি আগেও বলেছেন তিনি কোনো দোষ করেননি। এখনো তিনি বলছেন তিনি অভিযুক্ত নন। বিজেপির বিরুদ্ধে নিশানা করেই মদন মিত্র বলেন আমরা খারাপ শুভেন্দু আর মুকুল ভালো।

যদিও এই ঘটনার পরেই প্রেসিডেন্সি জেল এর বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অভিযোগ শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ বাকি তিনজনকে ঠিকমত খেতে দেওয়া হয়নি সিবিআই দপ্তরে ।

শোভন চট্টোপাধ্যায় হাইলি ডায়াবেটিক। শ্বাসকষ্ট রয়েছে তার। সিবিআইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় শারীরিক কোন ক্ষতি হলে তার দায় সম্পূর্ণ বর্তাবে সিবিআইয়ের উপর । nsradaসব মিলিয়ে এই মুহূর্তে নারদ কান্ডে 4 অভিযুক্তকে ঘিরে প্রত্যেক মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি।

সম্পর্কিত পোস্ট