পাথর সরিয়ে চলছে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় হিমবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার থেকে তপবোন এলাকায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
রবিবার সকালে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় হিমবাহ থেকে ধসের কারণে এখনব অবধি ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ প্রায় ২০০ এর অধিক মানুষ।
সূত্রের খবর, রবিবার দুই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছিল। তপোবনের কাছে প্রায় আড়াই কিলোমিটার বিস্তৃত ইউ শেপের একটি টানেলের কাদা এবং পাথরে ভরে গিয়েছে।
রবিবার ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আইটিবিপি সূত্রে খবর, এখনও ৩৪ জন ব্যক্তি আটকে রয়েছে ওই টানেলের ভিতর। টানেলের মধ্যে ৮০ মিটার যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন উদ্ধারকারী দল।
কয়েক টন ভারী পাথর সরাতে মোতায়েন করা হয়েছে প্যারামিলিটারি ফোর্স। হেভি মেশিন দিয়ে চলছে সেই কাজ। পুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং সেনা সহ ১০০০ জনের উদ্ধারকার্যের দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মৃত ১৪ জন, নিখোঁজ ১৭০ জন, আট বছর পর ফের বিষাদময় উত্তরাখণ্ড
মঙ্গলবার জোশিমঠে আইটিবিপি হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। হেলিকপ্টার থেকে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, জল, কাদা এবং বয়ে আসা পাথর থেকে রক্ষা পেতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লোহার রড ধরে ঝুলে ছিলেন শ্রমিকরা। আহতরা খুব শীঘ্রই সুস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত আরও বলেন, যদি এই ঘটনা সন্ধ্যার দিকে হত তাহলে আহতের সংখ্যা কম হতে পারত। কারণ ওই সময় শ্রমিকের সংখ্যা কম হত।
সোমবার থেকে উদ্ধারকাজের জন্য লাগানো হয়েছে বড় বড় লাইট। ধীরে ধীরে পাথর সরিয়ে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ওই জায়গায় ৩৫ জন স্থানীয় মানুষ এবং শ্রমিকরা নিখোঁজ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার। তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে আজই সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।