বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করানো হয়েছিল রিটার্নিং অফিসারকে, নন্দীগ্রাম নিয়ে বিস্ফোরক মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে দেখালেন রিটার্নিং অফিসারের বক্তব্য।

যেখানে তিনি বলেছেন, ‘পুনর্গণনার নির্দেশ দিলে আমাকে ও আমার পরিবারকে বন্দুকের মুখে দাঁড়াতে হবে। তাই আমার পক্ষে পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।’ এই বক্তব্যই তৃণমূলনেত্রীকে এসএমএস করে জানিয়েছেন কেউ। সেই এসএমএসই তৃণমূলনেত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন তুলে ধরলেন। সঙ্গে জানিয়ে দিলেন এইসব কিছু নিয়েই এবার আদালতে যাবে তৃণমূল।

এদিন মমতা তাঁর বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারের একটি বক্তব্য তুলে ধরেন। গতকাল নন্দীগ্রামে মমতার পরাজয়ের খবর কমিশনের তরফে জানানোর পরেও তৃণমূলের তরফে কমিশনের কাছে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল।

কিন্তু নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছিলেন পুনর্গণনার কোনও প্রয়োজন নেই। সেই অনুমতি তিনি দেনওনি। এদিন মমতা সংবাদমাধ্যমের সামনে একটি এসএমএস তুলে ধরেন যেখানে ওই রিটার্নিং অফিসার জনৈক ব্যক্তিকে জানিয়েছেন, ‘বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। পুনর্গণনার নির্দেশ দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হতে পারে আমাকে।’

সেই এসএমএস তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘একজনের কাছ থেকে এসএমএস পেয়েছি।একজন রিটার্নিং অফিসার বলছেন ‘আমি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দিই..তাহলে আমার প্রাণ সংশয় হতে পারে’। মেশিন পাল্টে দিয়েছে, আরও অনেক কিছু করেছে। আমরা আদালতে যাব। নন্দীগ্রামে কীরকম ভোটগ্রহণ হচ্ছিল সবাই দেখেছে। দুজন পক্ষপাতদুষ্ট পর্যবেক্ষক সেখানে ছিল। মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, আদালতের ওপর ভরসা আছে।’

এই জয় অহংকারের নয়, দায়িত্বের-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বললেন মমতা

এদিন মমতা কার্যত স্পষ্টই জানান গণনায় কারচুপি হয়েছে। পাশাপাশি কার্যত বন্দুকের নলের মুখে সেখানে ভোট করানো হয়েছে। আর তাই প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে বলে পুনর্গণনার নির্দেশ দিতে ভয় পাচ্ছেন নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার।

এদিন মমতা নন্দীগ্রামের ওই রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির ওই মেসেজ কথোপকথন তুলে ধরলেও ঠিক কার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের ওই কথা হয়েছে, তা খোলসা করেননি। তবে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবে তৃণমূল।

পাশাপাশি মমতা জানান, ‘যতক্ষন পর্যন্ত আদালতে এই সমস্যা না মিটছে ততক্ষণ পর্যন্ত ভিভিপ্যাট, ব্যালট এবং ইভিএম আলাদা আলাদা করে সরিয়ে রাখতে হবে। তদন্ত করে দেখা হবে, সেগুলিতে কোনও বিকৃতি ঘটানো হয়েছে কি না।’

সম্পর্কিত পোস্ট