RJ Ayantika : ট্রোলিং অব্যাহত, বাস্তবে অয়ন্তিকার বক্তব্য কতটা সত্য ভেবেছেন কি?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলা মিডিয়ামে পড়ে ছেলেমেয়েরা কর্পোরেট চাকরি ক্র্যাক করতে পারে কি? RJ Ayantika-এর এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল শোরগোল Social media জুড়ে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি চ্যানেলের বির্তক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জনপ্রিয় রেডিয়ো জকি অয়ন্তিকা এমনই মন্তব্যে করছেন।

বুদ্ধিজীবী থেকে অভিনেতা, বাংলা মিডিয়ামের পড়ুয়া থেকে কর্পোরেটে কাজ করা চাকুরিজীবীরা, সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিংয়ে গা ভাসিয়েছেন। ট্রোলিংয়ের রেশ এখনো কমেনি।

কিন্তু এরই মাঝে পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই সওয়াল করতে শুরু করেছেন।  সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বর্তমানে বাংলা মিডিয়ামের থেকে ইংলিশ মিডিয়ামে সন্তানদের ভর্তি করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন বাবা-মায়েরা।  উদ্দেশ্য একটাই।  গড়গড় করে ইংলিশ বলা। ইংরেজি না বললে রাজ্যের বাইরে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা হোক বা চাকরি পদে পদে বাধা পেতে পারেন সন্তানরা।

Ramadan 2022 : ঝর্ণার জলে স্নান, ডিজাইনার লন্ঠনে রমজানকে স্বাগত জানায় বিভিন্ন দেশ

তাই বলে কি বাংলা মিডিয়াম থেকে যারা পড়াশুনা করেন তারা কি ইংলিশ বলতে পারেন না?  এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই হ্যাঁ।  অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তানদের বাংলা মিডিয়ামে ভর্তি করলেও বাবা-মায়েরা বাড়তি গুরুত্ব দেন ইংরাজির প্রতি।

ছেলে মেয়েরা একটু বড় হলেই তাদের ইংলিশে কথা বলায় স্বর্গ করে তুলতে স্পোকেনের  ক্লাসে ভর্তি করা হয়।  তাই RJ Ayantika  ঠিক যে  বক্তব্য উত্থাপিত করতে চেয়েছেন তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রোলিং চললেও বাস্তবে সেকথা  অস্বীকার করতে পারবেন না কেউই।

অল ইন্ডিয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হোক বা কোনো উচ্চপদস্থ চাকরির পরীক্ষা হোক- প্রশ্নপত্র  ইংরেজিতে।  সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের ইংরেজি ভাষার প্রতি যথেষ্ঠ জ্ঞান না থাকলে  পরীক্ষা তাদের কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।  প্রকাশ্য দিবালোকে যতই বাংলা মিডিয়াম নিয়ে বড়াই করা হোক না কেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাবা মায়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যমের দিকেই ঠেলে দেন।

তবে সবক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম থাকে।  এক্ষেত্রেও থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।  তবে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত মতামত কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যে ঝড় চলছে তা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

RJ Ayantika

নেট নাগরিকদের একাংশের বক্তব্য RJ Ayantika যে  কথা বলছেন তার উদাহরণ বাস্তব জীবনে প্রত্যেক পদে পদে পাওয়া যায়।  তিনি সততার সঙ্গে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।  অনেকেই থাকেন যারা ট্রোলিং হওয়ার ভয়ে নিজেদের  ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে পিছিয়ে যান।

নেট নাগরিকদের অপর অংশের বক্তব্য RJ Ayantika যা বলছেন তা সম্পূর্ণ ভুল।  এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কেউ কি দেখাতে পারবেন শুধুমাত্র বাংলা ভাষা বলে বা বাংলা ভাষায় লিখে কেরিয়ারের ক্ষেত্রে  কোন ভিন রাজ্যে বা ভিনদেশে মোটা মাইনের চাকরি করা যায়?

এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ জায়গাতেই বা আমাদের ব্যবহারিক জীবনে ইংরেজি ভাষার মাহাত্ম্য বাংলা ভাষা থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকে। একথা কোন মতেই অস্বীকার করার জায়গা নেই।  আমরা যতই অস্বীকার করি না কেন এটাই বাস্তব। তাই একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রোলিং অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।  তবে সুস্থ মানসিকতার পরিচয় পাওয়া সম্ভব।

সম্পর্কিত পোস্ট