সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রিত নেই আপ ও আরজেডি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: সোমবার লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ২০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর আসতেই নড়ে বসেছে সাউথ ব্লক।

প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে নতুন রণনীতি সাজাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়নি আরজেডি এবং আপ।

সূত্রের খবর, বৃহষ্পতিবার সন্ধাবেলা সমস্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কিন্তু বাদ পড়ে গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ এবং লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি।

যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন লালু পুত্র তেজস্বী৷
প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠকে কেন আমন্ত্রিত হল না আরজেডি? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সুত্রের খবর, সংসদে যে সমস্ত দলের সাংসদের সংখ্যা ৫ জনের কম তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেই হিসেব অনুযায়ী আম আদমি পার্টির সাংসদের সংখ্যা চার জন। তাই বাদ পড়ে গিয়েছে তার দল।

আমআদমিপার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, দিল্লিতে তাদের সরকার রয়েছে। পাঞ্জাবে প্রধান বিরোধী দল আম আদমি পার্টি। তবুও কেন আমন্ত্রিত হল না আমআদমি পার্টি? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

একই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝাঁ। তিনি বলেন সংসদে আরজেডির পাঁচ সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কেন জায়গা পেল না আরজেডি।

সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ২০ সেনার মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও। এদিন নরেন্দ্র মোদির সরকারকে বিরোধীদের কড়া প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।

কারণ এর আগে চিন নিয়ে ভারতের অবস্থান কি তা জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধীতায় সরব হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। চিনের বেলায় ঘর মে ঘুস কে মারেঙ্গে নীতি কোথায় গেল? প্রশ্ন তুলেছেন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি কন্যা ইলতিজা।

সুতরাং নতুন করে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে এদিন মোদি সরকারকে সম্মুখীন হতে হবে। পাশাপাশি চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কোন পথ অবলম্বন করে সরকার সেটাই এখন দেখার।

 

সম্পর্কিত পোস্ট