বারাসাতে মেগাসিটি নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসার বিরুদ্ধে দফায় দফায় পথ অবরোধে শামিল স্থানীয়রা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসাতের চাঁপাডালি মোড় সংলগ্ন মেগাসিটি নার্সিংহোমকে  করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই বিক্ষোভ ও অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয় গত কয়েক দিন ধরে।

সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন হাসপাতালের কর্মচারীরাও।

ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বারাসাত থানার পুলিশ। বিক্ষোভ ও অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যশোর রোড।

বারাসাতের মেগাসিটি নার্সিংহোম সুনির্দিষ্ট হল কোভিড চিকিৎসায়

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বারাসত থানার পুলিশ কথা বলে সমস্যা সমাধানের সুরাহা হবে বলে আশ্বস্ত করলে অবরোধ-বিক্ষোভ উঠে যায়।

হাসপাতালের কর্মচারীদের দাবি এই হাসপাতাল করোনা রোগীদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র করা হলে তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক জীবন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ কোনরকম অনুসন্ধান না করে এত ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে করোনা হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত কিভাবে নেন তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা ।

এদিন বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচিতে শামিল হন টোটো চালক, অটোচালক ট্যাক্সিচালক ও স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের একাংশ।

তাদের দাবি এই হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র হলে এই অঞ্চলে মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে তো তারা রুটি-রুজি হারাবেন তারা।

বারাসাতের মেগাসিটি নার্সিংহোমে করোনা চিকিৎসার প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল ফরওয়ার্ড ব্লক

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে একই দাবিতে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ফরোয়ার্ড ব্লক।

উল্লেখ্য, বারাসাতের মেগাসিটি নার্সিংহোমকে করোনা চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট করার নির্দেশিকা হাতে পাওয়ার পর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে ফউমেগাসিটি হাসাপাতালকে করোনা হসপিটাল করার প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ফরোয়ার্ড উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।

একইসঙ্গে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল চিকিৎসারত রোগীদের নিয়েও।কারণ ডায়ালিসিস সহ বিভিন্ন জীবনদায়ী চিকিৎসা এই হাসপাতালে দেওয়া হয়।

মাঝপথে তাঁদের চিকিৎসা বন্ধ করা অসম্ভব।অন্যদিকে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে কোভিড চিকিৎসার পাশাপাশি অন্য রোগের চিকিৎসা একই প্রেমিসেসে করা সম্ভব নয়।

বিকল্প পথের সন্ধান চান কর্তৃপক্ষ। মেগাসিটির আধিকারিক দিব্যেন্দু বসু জানিয়েছিলেন তাঁদের অতিরিক্ত কোনো স্থান নেই যেখানে অন্য রোগীদের চিকিৎসা হতে পারে।বিকল্প পথ খুঁজতে রাজ্য এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়াবে, এমনটাই তাঁরা ভাবছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট