“আপনি আসুন আমার হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন, তারপর দেখুন জনগণ কী করে”- কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওপেন চ্যালেঞ্জ রাজীবের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ডানকুনি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই হাওড়ার শ্রীরামপুরে মিছিল করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্লোগান দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও। এদিন তারই প্রেক্ষিতে ওপেন চ্যালেঞ্জ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “আমি আহবান করছি আপনাকে আপনি আসুন এসে আমার হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন। তারপর দেখুন জনগণ আপনাকে কি করে।”
প্রসঙ্গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হওয়ার পিছনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এক কথায় বলা যেতে পারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপুল মার্জিনে জেতানোর দায়িত্ব ছিল রাজীবের কাঁধে। সে দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে এনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আজ আপনি বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে আপনি জয়ী হয়েছেন। তাহলে সেই সময়ের আমার প্রয়োজন কেন পড়েছিল? আপনি নিজে কেন নিজের দায়িত্ব নিতে পারলেন না?
প্রসঙ্গত কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলে থাকাকালীন বিবাদ সম্পর্কে ওয়াকিবহল ছিলেন স্বয়ং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কারণ ছিল কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে মোটেই ভাল ব্যবহার করতেন না। বিভিন্ন সময় সেই অভিযোগ গিয়ে জমা পড়তো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
বাংলার গর্বকে কেউ যদি খর্ব করে থাকে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ডানকুনির সভা থেকে রাজীবের ঝাঁঝালো আক্রমণ মমতাকে
সে বিষয়ে অবগত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বয়ং। সম্প্রতি একটি কর্মীসভায় প্রকাশ্যেই সংবাদমাধ্যমের সামনে আচ্ছেলাল যাদবকে ধমকাতে চমকাতে দেখা যায় তাকে। তা নিয়ে বিস্তর মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল দলের অন্দরে।
উল্লেখ্য এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, উনি নিজের পরিবার বাঁচাতে এরাজ্যের মা-বোনেদের টেনে আনছেন। সিবিআই ওনার বাড়িতে গিয়েছিল কিছু তথ্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কেউ ওনার ভাইপো-বউকে কয়লা চোর বলেনি। আসলে বিষয়টা এমন হয়েছে ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি।
উল্লেখ্য সম্প্রতি একটি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাইশ তেইশ বছরের মেয়ে বলে উল্লেখ করেন। তা নিয়েই তৈরি হয় চরম বিতর্ক।
বয়স বিতর্কে হিসাব করে দেখা যাচ্ছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়েছিল যখন তিনি নাবালিকা ছিলেন।
উল্লেখ্য একের পর এক জনসভা থেকে যেভাবে আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণের বহর বাড়ছে তাতে নিঃসন্দেহে ভোটযুদ্ধের লড়াই যে শুরু হয়ে গেছে এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। চলতি বছরের ২ মে প্রমাণিত হয়ে যাবে এ বাংলার স্টিয়ারিং থাকছে কার হাতে।