Rural Development West Bengal : ১১৩২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপন প্রকল্প
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চলতি অর্থ বছরে রাজ্যের ১১৩২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপন প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ন্যূনতম ১০ বিঘা জমিতে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের গবেষকদের পরামর্শমতো অত্যাধুনিক এই প্রকল্পের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে প্লাস্টিক একটি বড় সমস্যা। সেই কারণে গ্রামীণ সড়ক যোজনায় নতুন রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে এই প্লাস্টিক ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
১১ বছর পর স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রদবদল
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতগুলিকে একটি করে ‘প্লাস্টিক বেলিং মেশিন’ দেওয়া হবে। ফাঁকা জায়গায় এই মেশিনের মাধ্যমে সব ধরনের প্লাস্টিক গলানো হবে। বোতল, খেলনা, বালতি সহ বিভিন্ন ধরনের বড় উপকরণ কয়েক মিনিটে গলে যাবে। পরে সেটি অন্যত্র পাঠানো হবে।
Rural Development West Bengal
- সেটি থেকে বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিসপত্র তৈরি করা হবে।
- বোতল বা প্লাস্টিকের প্যাকেট একবার ব্যবহার করার পরেই ফেলে দেওয়া হয়।
- বেশিরভাগ সময় তা জলাশয়ে গিয়ে পড়ে।
- নালাতেও তা আটকে যাবে।
- প্লাস্টিক কোনওভাবেই সম্পূর্ণ নষ্ট করা সম্ভব নয়।
- কিন্তু ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি হলে তা সহজে ফেলে দেওয়া হবে না।
- বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে যাবে। সেই কারণেই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
দাবদাহের ফলে এই জেলাগুলোতে যাতে কোনোরকম জলকষ্ট না হয় সে কথা মাথায় রেখে জরুরি কালীন ভিত্তিতে আট দফা বিভাগীয় নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। যদি কোনো জেলার কোনো ব্লকে জলকষ্ট দেখা দেওয়ার ন্যুনতম সম্ভাবনা থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ সেই জেলার জেলাশাসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমানে পানীয় জলের গাড়ি মজুত রাখতে হবে। মজুত রাখতে হবে পর্যাপ্ত পানীয় জলের পাউচ। পানীয় জলে যাতে কোনো দূষণ না হয় তার জন্য ক্লোরিন এর ব্যবস্থা রাখার কথাও বলা হয়েছে বিভাগীয় মেমো তে।
যেসব স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, হাসপাতাল বা সরকারি অফিসে পানীয় জলের যোগানের দায়িত্বে রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, সেখানে জল সরবরাহের সময় বাড়াতে হবে এবং যতদিন না এই তাপপ্রবাহ কমছে ততদিন প্রতিদিনের রিপোর্ট মেইল করে দফতরের হেড অফিসে জানাতে হবে বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।