Russia-Ukraine crisis : যুদ্ধের খবরে আনিসকে নিয়ে চর্চা যেন থিতিয়ে না যায়, এটা বাঙালির আশু কর্তব্য

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শনিবারের মধ্যে সম্ভবত কিয়েভের পতন হবে। শুক্রবার রাতেই খবর পাওয়া গিয়েছিল রুশ সেনা ইউক্রেনের এই রাজধানী শহরে ঢুকতে শুরু করেছে। তবে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন ( Russia-Ukraine crisis )।

Russia-Ukraine crisis 

কিন্তু প্রবল শক্তিধর রাশিয়াকে শেষ পর্যন্ত তারা ঠেকাতে পারবে বলে মনে হয় না। এই টানটান পরিস্থিতির কথাই এখন প্রতিমুহূর্তে উঠে আসছে সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিছুটা হলেও মৃত আনিস খানকে নিয়ে চর্চা কমতে শুরু করেছে। এটা কিন্তু এক বিপজ্জনক সঙ্কেত বহন করছে!

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ( Russia-Ukraine crisis ) সঙ্গতভাবেই অনুভূতিশীল মানুষের মনে প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধ কখনোই ভালো কিছু করতে পারে না। তাই শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সর্বত্র শান্তির বার্তা দেবে সেটাই কাম্য। কিন্তু একই সঙ্গে ঘরের ছেলেটার কথাও মনে রাখতে হবে আমাদের। আমরাই যদি তার কথা ভুলে গিয়ে নতুন বিষয়ে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করি, তবে মৃত আনিস ন্যায় বিচার পাবে কি করে!

আসল অভিযুক্তদের না ধরে টিআইপ্যারেডের নামে আনিসের বাবার সঙ্গে মশকরা !

আসলে এই সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় অহরহ বিষয় পরিবর্তন হতে থাকে। এই ভার্চুয়াল জগতের নিয়ম হল, নতুন একটি বিষয় এসে পুরানো বিষয়কে পিছনে ঠেলে দেবে। এ ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হচ্ছে। যুদ্ধের খবর এসে আনিস কাণ্ডকে নিয়ে চর্চা বেশ কিছুটা পিছনের সারিতে পাঠিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু খুব ভালো করে ভেবে দেখলে বোঝা যাবে আনিসের ন্যায় বিচারের যে দাবি, যা আমাদের ঘরের দাবি, তা যদি সঠিকভাবে আদায় করে না নেওয়া যায় তবে রাষ্ট্রযন্ত্র তার স্বভাব পরিবর্তন করবে না। তার এই সর্বগ্রাসী মনোভাব‌ই কিন্তু একসময় যুদ্ধ ( Russia-Ukraine crisis ) শুরু করে!

এক্ষেত্রে বাংলার মানুষ খুব সহজে দুটো দিকই সামলে চলতে পারে। রাশিয়ার যুদ্ধ আমাদের প্রবল বিচলিত করলেও এক্ষুনি সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে না ভারত। বরং পরিস্থিতি বিচার করে মনে হচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই যুদ্ধের নিষ্পত্তি ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে যদি এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভারত সহ পৃথিবীর সমস্ত দেশ কোন‌ও একটি পক্ষ নিতে বাধ্য হবে।

যেহেতু আমরা এখনই সরাসরি এই যুদ্ধের অংশ হচ্ছি না তাই ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ ( Russia-Ukraine crisis ) এর নৈতিক অবস্থান বজায় রেখেই আনিসের জন্য প্রত্যক্ষ আন্দোলনে অংশ নেওয়া সম্ভব।

সম্পর্কিত পোস্ট