গোরু খোঁজার মতো চেষ্টা, ভ্যানিশ ভারত-বাংলাদেশের JMB প্রধান সালাউদ্দিন

বিশেষ প্রতিবেদন, দ্য কোয়ারিঃ বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে। এখন কোথায় কেউ জানে না। ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে জামাত জঙ্গি নেটওয়ার্ক তৈরির মূল মাথা সালাউদ্দিন সালেহীন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে কোথাও একটা রয়েছে। এই সেই জঙ্গি, যার পরিকল্পনায় পূর্ব বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে চলছিল জেএমবি ঘাঁটি।

বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে ২০১৪ সালে বিস্ফোরণের পর জেএমবি (জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) তথা সংগঠনটি ভারতীয় শাখা জেএমআই নাম উঠে আসে। তদন্তে এও জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি ও সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়ার ছক করা হয়েছিল। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ বা বর্ধমান বিস্ফোরণ মামলার বেশিরভাগ চাঁই দুই দেশে ধৃত। তবে মূল মাথা সালাহউদ্দিন সালেহীন বেপাত্তা।

জামাত উল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া (জেএমআই) শাখা পরিচালিত হয় সালাহউদ্দিনের নির্দেশে। কিন্তু তার কোনও খোঁজ নেই। গোয়েন্দা বিভাগের ধারণা,
সাম্প্রতিক তালিবান হামলায় বিপর্যস্ত আফগানিস্তান থেকে সালাহউদ্দিন সুযোগ নেবে জঙ্গি সংগঠন ছড়াতে।

জেএমবি মূল ধারা ও নব্য ধারা দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত। নব্য জেএমবির মূল মাথা তামিম চৌধুরী বাংলাদেশে জঙ্গিদমন অভিযানে মৃত। সংহঠনটির প্রায় সব শীর্ষ কমান্ডার হয় মৃত নয় জেলে। আর পুরনো জেএমবি বারবার সুযোগ খুঁজছে তাদের অংশকে চাঙ্গা করতে।

দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদ গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ভারতকে লক্ষ্য করেই তিনটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট ও তালিবান তাদের নেটওয়ার্ক ছড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে দুই দেশের কিছু গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সংযোগ স্পষ্ট। আফগানিস্তানকেই ঘাঁটি করে আল কায়েদা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট ও ইসলামিক স্টেট পরস্পর মুখোমুখি।

এই অবস্থায় নব্য জেএমবি তাদের হামলা বাংলাদেশ ভিত্তিক করতে মরিয়া। আর মূল ধারা তথা পুরনো জেএমবি সক্রিয় ভারতে। পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে বারবার জেএমবি জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী। খাস কলকাতায় জেএমবি জঙ্গিরা ধরা পড়ার পর সবদিক খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

৩৫ টি উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের শর্তসাপেক্ষে জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের

তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, কলকাতা পুলিশের এসটিএফের জালে জেএমবি নেটওয়ার্কের তিন চাঁই ধরা পড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে জঙ্গিদমন অভিযানে ধংস করা হয় জেএমবি ঘাঁটি। ঢাকা মহানগর পুলিশ ও বাংলাদেশ জঙ্গি দমন শাখা (সিটিটিসি) সূত্রে খবর, নারায়ণগঞ্জ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

জেএমবি মূল ধারা ও ভারতীয় শাখার প্রধান সালাউদ্দীন সালেহীন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। জঙ্গি ঘাঁটি ধংসের তদন্তে উঠে এসেছে বোমা হামলায় শক্তিশালী হতে অনলাইন কোর্স করানো হচ্ছে এই শাখার জঙ্গি সদস্যদের। কলকাতায় ধরা পড়া জেএমবি জঙ্গিরা বাংলাদেশর বাসিন্দা।তাদের বিষয়ে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

গত কয়েকবছর ধরেই গোরু খোঁজার মতো পুরনো জেএমবির মাথা সালাহউদ্দিনকে খুঁজলেও সে ভ্যানিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট