প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা, সাংবাদিক বৈঠকে অবস্থান স্পষ্ট করলেন ইয়েচুরি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক : মাস খানেক আগেও সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে একাধিক বক্তব্য শোনা গিয়েছে বামেদের গলায়। কিন্তু আজও সেসব যেন উধাও। আলগা সুতোয় একলা বাঁধন দিয়ে রেখেছেন নৌসাদ।

ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণার পরেই কোন জায়গায় দেখা গেল না সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে শ্রীজীব বিশ্বাসের নাম। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল তাহলে কি সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যতে ইতি?

এই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে দিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক এক সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। নির্বাচনের জন্য আব্বাসের আইএসএফ , কংগ্রেস ও বামেরা মিলে তৈরি করেছিল সংযুক্ত মোর্চা।

যেহেতু সামনে আর কোনো নির্বাচন নেই তাই সংযুক্ত মোর্চার আর কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই। অতএব সংযুক্ত মোর্চার ঢোক গিলে এখন বাম ঐক্যের দিকে নজর রাখতে চাইছে একে গোপালান ভবনের নেতারা। পরিবর্তে পুরানো শরীক সিপিআই(এমএল) কে একই মঞ্চে ফেরাতে পেরেছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে তিনি উদাহরণ স্বরূপ তুলে ধরেছিলেন নির্বাচনী ইস্যুতে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির জোট প্রসঙ্গ।

নির্বাচন মিটতেই সিপিএমের প্রথম সারীর একাধিক নেতৃত্বের মুখে তরফে একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে আইএসএফের সঙ্গে জোট ভালোভাবে নেয়নি আমজনতা।

এমনকি রাজ্য নেতৃত্বের একাধিক সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে সুশান্ত ঘোষ, অশোক ভট্টাচার্য, ক্রান্তি গাঙ্গুলিদের। আলিমুদ্দিনের তরফে কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে জোটের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।

নেতাদের বলতে শোনা গিয়েছে সংযুক্ত মোর্চা নির্বাচনী সমঝোতা। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নয়। এদিন কার্যত সেই মন্তব্যেই সীলমোহর দিলেন সীতারাম ইয়েচুরি।

প্রসঙ্গত আগেই সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভবানীপুরের প্রচারে বামেদের তরফে তাদের ডাকা না হলে প্রচারে যাবেন না।

অন্যদিকে কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে আগেই উপনির্বাচনে মমতার বিরোধিতা করবে না। তবে ব্রিগেডের মঞ্চের পরেই কি খামবন্দী হয়ে গেল সংযুক্ত মোর্চার জোট? নাকি ভরাডুবি থেকেই শিক্ষা নিলেন রাজ্যের নেতারা?

সম্পর্কিত পোস্ট