বেনজির ! বিজেপির পথে সরলা মুর্মু, হবিবপুরে প্রার্থী বদল তৃণমূলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল দলের অন্দরে। কারণ অনেকেই টিকিটের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

ইতিমধ্যেই অনেকে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আরো এক ঝাঁক নেতা আজ হেস্টিংসের দিলীপ ঘোষের হাত ধরে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। তবে এবার বেনোজির ঘটনা ঘটলো মালদায়।

প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে নির্বাচন কেন্দ্র পছন্দ না হওয়ায় মালদহের হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সরলা মুর্মু যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ আরও ১৪ জন নাম লেখাতে চলেছেন বিজেপিতে।

মালদার তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। সরলা মুর্ম প্রথম থেকেই জানিয়েছিলেন, তিনি হরিপুরে প্রার্থী হতে চান না। পুরাতন মালদহ থেকেই তিনি প্রার্থী হতে চান। তবে সরলার সেই ইচ্ছাকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েই হবিবপুর থেকেই সরলাকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য রাজনীতিতে এরকম বেনোজির ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচন কার্যত রাজ্যের শাসক শিবিরের কাছে মান-সম্মানের চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে এবারে একুশের নির্বাচনে কোনভাবেই পশ্চিমবঙ্গের কুর্সি হাতছাড়া করতে চাননা গেরুয়া শিবির।

নারী দিবসে কলকাতার রাজপথে ফের মমতা

প্রসঙ্গত. ইতিমধ্যেই সরলা মুনমুন বিজেপিতে যোগদানের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ এই কারণ দেখিয়ে সোমবার সকালে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সরলার জায়গায় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে প্রদীপ বাস্কেকে।

রাজনৈতিক মহলের মতে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হবিবপুরে বাম প্রার্থী ছিলেন খগেন মুর্মু। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। তিনি সাংসদ হিসাবে জিতে আসার পর হবিবপুর উপনির্বাচন হয়। বিজেপির প্রার্থী জুয়েল মুর্মু সেই উপ-নির্বাচনে জয়ী হন।

মালদা উত্তরে বিজেপির সংগঠন বেশ ভালো। সেখানে তৃণমূলের পক্ষে মাটি শক্ত করে জয় ছিনিয়ে আনা বেশ কঠিন। সেই কারণেই হবিবপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে চাননি সরলা মুর্মু।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত রাতেই তিনি রওনা হয়েছিলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। আজ দুপুর তিনটে নাগাদ গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাতে চলেছেন সরলা।যদিও এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে চাননি শাসক শিবির।

সম্পর্কিত পোস্ট