অভিনেত্রী থেকে নেত্রী সায়নী, নজরকাড়া অভিষেক রাজনীতিতে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক : ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর এবার পাখির চোখ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। আজ দলের সাংগঠনিক স্তরে বেশকিছু রদবদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এতদিন তৃণমূলের যুব সভাপতি ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সেই পদে আনা হলো সায়নী ঘোষকে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ থেকে তাকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিপরীতে ছিলেন বিজেপির দাপুটে নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। যদিও সয়নি হেরে যান অগ্নিমিত্রার কাছে। কিন্তু লড়াই হয়েছিল সেয়ানে সেয়ানে।
সায়নীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় বিধানসভা নির্বাচনে । সায়নীর একটি বিতর্কিত টুইটি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় নেট মাধ্যমে। সেখানেই সায়নী ঘোষকে ট্যাগ করে সেই টুইটের জবাব দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। মুহুর্তের মধ্যে বাকবিতণ্ডা রাজনৈতিক আকার নেয়। তাকে হাতিয়ার করেই ভোট প্রচারে ময়দানে নামেন মমতা।
সেসময় সায়নীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল একজন নাতনির বয়সী মেয়ের সঙ্গে যে ভাষায় তথাগত রায় বাক্যলাপ করছেন তা বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে কোনোভাবেই সাযুজ্য রাখেনা।
তখন থেকেই ধরে নেওয়া হয়েছিল তৃণমূলে নাম লেখাতে চলেছেন সায়নী ঘোষ। দিন কয়েক পরেই অবশ্য তা প্রমাণিত হয় শুধু দলে যোগ দেওয়ায় নয় আসানসোল দক্ষিণ থেকে বিধানসভার নির্বাচনে বেশ টাফ ফাইটে লড়াই দেন সায়নী।
বিধানসভা নির্বাচনে সায়নীর প্রচার নজর কেড়েছিল সকলের। যেভাবে একের পর এক ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন তিনি করেছিলেন, তাতে অনেক দুঁদে রাজনীতিবিদও সায়নীর প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
নির্বাচনে পরাজয় ঘটলেও করোনা সংক্রমনের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তিনি ছুটে গিয়েছেন আসানসোলে। সেফ হোম তৈরি থেকে শুরু করে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের পাশে সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। লকডাউন পরিস্থিতিতে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে সহযোগিতা করতে দেখা গিয়েছে সায়নী কে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় আরো নতুন ভাবে উদ্যমী হয়ে কাজ করতে দেখা যাবে সায়নী কে। তবে তিনি যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করে রাজনীতির ময়দানে নাম লিখিয়েছেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনে। তাতে নিঃসন্দেহে যুব সমাজে প্রভাব পড়বে। এখন দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন গুরুদায়িত্ব কিভাবে পালন করেন সায়নী।