করোনাকালে প্রবল আর্থিক সংকটে সাইন্সসিটি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত কয়েকমাসসের টানা লক ডাউন অনেক কিছুকেই বদলে দিয়েছে। বিশেষ করে দেশের অর্থনীতির খোলনোলচে বদলে দিয়েছে সে। এই অবস্থায় সরকারি থেকে শুরু করে বহু বেসরকারি সংস্থা আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। একই অবস্থা শহর কলকাতার জনপ্রিয় ভ্রমণস্থল সায়েন্সসিটি।
কয়েকমাস আগেও এখানে মানুষের জমায়েতে গমগম করত। তবে গত কয়েকমাসের লকডাউন সব বদলে দিয়েছে। চরম আর্থিক আনটনের মধ্যে রয়েছে এই সংস্থা। গত ২২ বছর ধরে নিজের প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান নিজেই করে স্ব-নির্ভর ছিল সায়েন্সসিটি।
করোনা আবহে সেই সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকেই এ বার কঠিন অবস্থার হাত পাততে হচ্ছে। অর্থনৈতিক অনটানের কারণে সাহায্য চেয়ে তাই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হল কলকাতার সায়েন্স সিটি।
কলকাতার যে কয়েকটা দর্শনীয় স্থান আছে তার মধ্যে অন্যতম হল সায়েন্স সিটি। প্রতি বছর যেখানে গড়ে ১৫ লক্ষ করে দর্শক আসেন এখানে। এই দর্শকরা আসেন বলেই প্রতি বছর ৭০% টাকা আয় করতে পারে সায়েন্স সিটি।
বাকি টাকা উঠে আসবে সায়েন্স সিটির দু’টি অডিটোরিয়াম ও মেলার মাঠ ভাড়া দিয়ে। কিন্তু এতগুলি মাধ্যম থেকে কোনও টাকাই আসছে না।
ফলে এক ধাক্কায় সায়েন্স সিটির আয় এসে শূন্যে ঠেকেছে। যদিও প্রতি বছর সায়েন্স সিটির আয় হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। তার মধ্যে এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর মিলিয়ে শুধু আসে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এ বারে সেখানে ১ টাকাও আসেনি।
সোমেন মিত্রের স্মরণসভা স্থগিত রাখছে প্রদেশ কংগ্রেস
ফলে সায়েন্স সিটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সায়েন্স সিটির প্রতিদিনের কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন প্রায় ২৭৫ জন। তার মধ্যে ৭৫ জন হলেন সরকারি।
২০০ জনকে বিভিন্ন সংস্থা মারফত নিয়োগ করা হয়। এই সব কর্মীদের মাহিনা যেমন আয়ের ওপর নির্ভর করে থাকে, ঠিক তেমনই এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হয় তা কিভাবে মিলবে তা নিয়ে চিন্তায় সকলে।
সায়েন্স সিটির ডিরেক্টর শুভব্রত চৌধুরী জানিয়েছেন, “এমন পরিস্থিতির শিকার আগ কখনও হতে হয়নি আমাদের। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি উপায় খুঁজে বার করতে। সে কারণেই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে আমরা জানিয়েছি। আশা করব সরকার আমাদের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন।”
সায়েন্স সিটিতে গিয়ে দেখা গেল সব গেট বন্ধ। যদিও প্রতিটি জিনিষ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে প্রতিনিয়ত। আশাবাদী খুব শীঘ্রই আনলক হবে সায়েন্স সিটি৷ তখন কিভাবে মানুষজন এই সায়েন্স পার্কে প্রবেশ করবেন সেটাই এখন পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।