করোনা আবহে মানুষের পাশে থেকে “অন্নপূর্ণা “র দ্বিতীয় দিন
রাহুল গুপ্ত
প্রথম দিন পেয়েছিলেন ৮৮০ টি পরিবার। দ্বিতীয় দিন ” অন্নপূর্ণা ” থেকে রান্না করা খাদ্যদ্রব্য পেলেন প্রায় ১১২০ টি পরিবার। মানুষের পাশে , সঙ্গে থেকে গত ১৬ই এপ্রিল থেকে রান্না করা খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হচ্ছে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্র পরিবারগুলোকে।
এর আগে ৫ই এপ্রিল থেকে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী। দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অতনু প্রসাদ মিত্রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই কার্যক্রম চলছে করোনা লক ডাউন আবহে।
আরও পড়ুনঃ মানুষের স্বার্থে শুরু ” অন্নপূর্ণা “, পথেই দেখা হবে বন্ধু বললেন অতনু প্রসাদ মিত্র
এদিন ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান অঞ্চলের প্রায় ১২ টি ক্লাবে ক্লাবে পৌঁছে যায় দুপুরের খাবার। খাবার দেওয়া হয় পদ্মপুকুর লেন সংলগ্ন অঞ্চলেও।
সঙ্গে এদিন থেকেই চালু হয়ে যায় ” অন্নপূর্ণা ” এর হেল্প লাইন দুটি নম্বর।
নম্বর দুটি হলো – ৮২৪০২ ৩৮৭০৭ এবং ৯৮৩০৮০৬৯১৫।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় , সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অতনু প্রসাদ মিত্রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ” অন্নপূর্ণা “।
কলকাতা পুরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন অঞ্চলে এই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ঘরে ঘরে। যারা করোনা গ্রাসে পরিস্থিতির স্বীকার যাদের অবস্থা খুব দুর্বিসহ , যারা দিন আনে দিন খায় তারাই এই সুবিধার আওতায় পড়ছেন।
এদিন অতনু বাবু বলেন ” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন তা নজির বিহীন। রাজ্যে রেশনবন্টন ব্যবস্থা নিয়ে যে অভিযোগ বা রাজনীতি বিরোধীরা করছেন তা লজ্জাজনক। এই কঠিন সময়ে রাজনীতি ছেড়ে আসুন পথে নামুন সবাই। পথেই হবে দেখা। ” কাল ( ১৮এই এপ্রিল ) অন্নপূর্ণা -র তৃতীয় দিন।
এদিন দিনের শেষে চাল , ডাল , সবজি , মশলা নিজে হাতে পৌঁছে দেন অতনু প্রসাদ মিত্র। তিনি আরও বলেন ওই অঞ্চলের সব বাসিন্দাদের ” এই সময় টা ধৈয্য ধরে চলতেই হবে , তাতেই আগামী দিনে জয় আসবে করোনার বিরুদ্ধে। ঝড় থামবেই। “.