গর্ভবতী মহিলাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বারাসাতের পাল মেডিকেল হল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগ উঠল বারাসাতের কলোনি মোড়ে পাল মেডিকেল হলের বিরুদ্ধে। যাকে এই ওষুধ বিক্রি করা হয়েছে তিনি গর্ভবতী বলে জানা গিয়েছে।

অভিযোগ গত ২৪ নভেম্বর কলোনি মোড়ে পাল মেডিকেল হল থেকে মাল্টি ভিটামিন ওষুধ নিয়েছিলেন বারাসতের বাসিন্দা সোমা চক্রবর্তী নামে গর্ভবতী ওই মহিলা।

তার কথায় হাতে বাজারের ব্যাগ থাকায় তিনি ওষুধের মেয়াদ দেখতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাকে তিনি মেয়াদ দেখে দিতে বললে তারা জানায় একদম কারেন্ট ডেটের ওষুধ।তারপর থেকে গত ৬ দিন ধরে রোজ ওষুধটি খাচ্ছিলেন গর্ভবতী ওই মহিলা।

তিনি জানান, আজ ওষুধটি খাওয়ার সময় দেখি ওষুধের উপর ছত্রাক জাতীয় কিছু একটা রয়েছে। তখন ভাল করে দেখতে গিয়ে দেখা যায় ২০১৭ সালে ওষুধটি তৈরী। যার মেয়াদ রয়েছে ২৪ মাস। অর্থাৎ ২০১৯ সালেই সেটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

এরপর সোমা দেবী তার স্বামীকে নিয়ে ওষুধের দোকানে গিয়ে বিষয়টি জানান। প্রথমে তারা বলেন, ভুল হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ওই ওষুধ সেবনের ফলে যদি সোমাদেবীর শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় তা-ও তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে জানান দোকানের মালিক।

এরপরই সোমাদেবীর স্বামী উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করলে তখনই পাল মেডিকেল হল থেকে জানানো হয় তারা ওষুধটি বিক্রি করেননি। ওই গর্ভবতী মহিলা মিথ্যা কথা বলছেন।

এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। লোকজন জড়ো হতে থাকে। ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে দেখে তারা দোকানের কোলাপসিপল গেট বন্ধ করে দেয়।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/dilip-ghoshs-use-is-like-mr-beans-indranil-sen/

পরবর্তীতে বারাসাত থানায় গোটা ঘটনার অভিযাগ জানাতে যান ওই দম্পতি। তদন্তে আসে বারাসাত থানার পুলিশ।

আমরা কথা বলেছিলাম বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বারাসাত জোনের সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, পাল মেডিকেল বিসিডিএ-র সদস্য নয়। তাদের বারবার বলা সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করেনি। প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।

বারাসত কলোনি মোড়ের অতি পরিচিত ওষুধের দোকান পাল মেডিকেল হলের এই ধরণের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা

সম্পর্কিত পোস্ট