মানুষ সঙ্গে থাকলে যে কোনও শক্তিকে রোখা যায়, দেখিয়ে দিয়েছেন মমতা: কমল নাথ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে। বিরোধী জোটের সলতে পাকানো শুরু। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে দফায় দফায় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের দেখা করার কথা। মূলত কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত বহন করে।
যদিও এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসাবেই বলছেন সকলে। রাজনৈতিক মহল বলছে বুধবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে এই বৈঠক মূলত্র প্রস্তুতের কৌশলমাত্র। এদিন দুপুর দুটো নাগাদ দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে এসে পৌঁছান প্রবীণ নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তার সঙ্গে প্রায় কুড়ি মিনিট বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সাংবাদিকদের জানান, ‘২০২৪ নিয়ে নিয়ে কোনও কথা হয়নি। এই প্রসঙ্গে যা বলার দলনেত্রী বলবেন’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক প্রসঙ্গে কমলনাথ জানান, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম। মূল্যবৃদ্ধি , দেশের আইন কানুনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪-এর আগে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে কিনা তা নিয়ে কথা বলবেন দলের নেতারা। আমাদের দীর্ঘদিনের পরিচয়। সেই সুবাদেই এই সৌজন্য সাক্ষাৎকার।’ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় কমলনাথের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন যদি মানুষ সঙ্গে থাকে তাহলে যে কোনও শক্তিকে রোখা যায়।’
অসম সীমানায় ১২০০ কমান্ডো মোতায়েন, মিজোরামকে নরম হওয়ার বার্তা হিমন্তের
মমতা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে গেলেও, তাঁর সঙ্গে কমলনাথের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মমতাকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে সওয়াল করে আসছেন তিনি।
বিজেপি-র আগ্রাসী প্রচার সত্ত্বেও এ বছর তৃতীয় বার মমতা বাংলায় ক্ষমতায় ফেরার পর মমতাকে ‘দেশনেত্রী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই সময় কমলনাথ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দেশনেত্রী। পর পর তিন বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। কঠিন লড়াই পেরিয়ে এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন উনি।’’ তাই ২০২৪-এ বিরোধী জোটের চালকের আসনে মমতাকে বসানোর ক্ষেত্রে কমলনাথ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে কমল নাথের পর মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন অপর কংগ্রেস নেতা তথা কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মার সঙ্গে। তিনিও এদিনের বৈঠক নিয়ে কোন বাক্য ব্যয় করেননি। এদিন সন্ধ্যে ছটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অপর এক কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ
দিন গোটা দিন গতিপ্রকৃতি যে দিকে এগোলো তাতে একথা বলাই যায় কংগ্রেসের এই শীর্ষস্থানীয় নেতারা কংগ্রেস সভানেত্রী সঙ্গে বৈঠকের আগে দুই নেত্রীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করলেন। আগামী লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের হবে কি হবে না তা সময় বলবে, তবে এই বৈঠকের মধ্যে থেকে একটা কথা বলা যায় অতীতে এই দুই দলের মধ্যে দূরত্ব দেখা গিয়েছিল তা ক্রমেই কমতে শুরু করেছে।