সংসদ বিরোধী আচরণের জন্য সাত কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। শুরু থেকেই উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদে সরব হন বিরোধী পক্ষের সাংসদরা। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল যে একই দিনে দু’বার অধিবেশন স্থগিত রাখতে হয়।

সোমবার সমস্ত দলের বৈঠকে স্পিকার সকলকেই সংসদের আইন শৃংখলা মানার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু দিল্লির ইস্যুতে সরকার পক্ষের বিরোধিতায় সরব বিরোধীপক্ষ।


বুধবার স্পিকার ওম বিড়লা জানান, হোলির পড়ে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি রয়েছে সরকার পক্ষ। তাতেই সরকার পক্ষকে আরও চেপে ধরে বিরোধী সাংসদরা।

আরও পড়ুনঃ ২০ মার্চ নির্ভয়া দোষীদের সাজা ঘোষণা করল আদালত

এরপর থেকেই সংসদের ভিতরে আচরণবিধি নিয়ে কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার ওম বিড়লা। অধিবেশন চলাকালীন কোনও সাংসদ স্লোগান দিলে তাঁকে চলতি অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে সাসপেন্ড করা হবে। সাফ জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি ঠান্ডা না হওয়ায় ৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার।

এই তালিকায় রয়েছেন গৌরব গগৈ, টিএন প্রথাপন, ডিন কুরিয়াকোসে, আর উন্নিথান, মানিক্কাম ঠাকুর, বেনি বেহনান এবং গুরজিত সিং আহুজা। চলতি অধিবেশনের আগামী দিনগুলিতে সংসদে উপস্থিত থাকতে পারবেন না এই সাংসদরা।

আরও পড়ুনঃ ভারতে করোনা আতঙ্কের সংখ্যা ২৯, নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন দেশ জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এমনিতেই সংসদে আসন সংখ্যা কম থাকার কারণে বিপদে পড়তে হয়েছে বিরোধী পক্ষকে। এবার আরও সাত জন সাংসদ না পেয়ে সরকার পক্ষের কোর্টে বল অনেকটা চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

সরকার চায় না দিল্লির হিংসা নিয়ে আলোচনা করতে। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দাবী লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।

সংসদের আইনশৃংখলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন সাত কংগ্রেস সাংসদ। দাবী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।

 

 

সম্পর্কিত পোস্ট