বিতর্ক কাটিয়ে দোলের আগেই শান্তিনিকেতনে শুরু বসন্ত উৎসব
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিটা ঋতুকে তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছেন। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও পাঠভবনের উদ্যোগে বসন্ত বন্দনা হয় আম্রকুঞ্জে।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রথমে ঐতিহ্যের পৌষমেলা, তারপরে বসন্ত উৎসব নিয়ে বিতর্কে জেরবার কবিগুরুর সাধের শান্তিনিকেতন।
তবে সমস্ত বিতর্ক কাটিয়ে ঋতুরাজ বসন্তকে আহ্বান জানাতে ফাল্গুনের প্রথম দিনেই বসন্ত বন্দনা দিয়ে শুরু হলো বসন্ত উৎসবের।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিটা ঋতুকে তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছেন। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও পাঠভবনের উদ্যোগে বসন্ত বন্দনা হয় আম্রকুঞ্জে।
ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজস্ব নাচ গানে ভরিয়ে তোলে এই অনুষ্ঠান। শান্তিনিকেতনে বসন্ত বন্দনা দেখতে দেখতে সকাল থেকেই হাজির হয়েছেন পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আরও পড়ুনঃআর নয় পুঁথিগত পঠনপাঠন, আপন মনে চলতে দাও ওদের
এবারের বসন্ত উৎসব নিয়ে বেনজির সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছরই বসন্ত উৎসবকে ঘিরে কিছু না কিছু বিশৃঙ্খলা ঘটে। গতবছরেও ব্যতিক্রম হয়নি। ভিড়ের চাপে তৈরী হয় বিশৃঙ্খলা। অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। এই ঘটনায় সমালোচিত হতে হয় বিশ্বভারতীকে।
এই সব কারণেই বসন্ত উৎসবকে একেবারে বিশ্বভারতীর নিজস্ব অনুষ্ঠানে পরিণত করার কথা ভাবনায় আসে। সেই সঙ্গে দোলের উৎসব থেকে আলাদা করে দেওয়া হল বসন্ত উৎসবকে।
গতবারের ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বসন্ত উৎসবের নামে গোটা শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক, সামাজিক পরিবেশটাই সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এত মানুষের ভিড়ে প্রয়োজনীয় কাজটুকুও সারা যাচ্ছে না, রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকছে অ্যাম্বুল্যান্সও।
তবে দোল থেকে বসন্ত উৎসব আলাদা হয়ে যাওয়ায় যারা প্রত্যেকবার দোলের ছুটি কাটাতে শান্তিনিকেতন যেতেন, এবার সেই স্বাদ থেকে যে তারা বঞ্চিত তা স্পষ্ট।