লড়াকু শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা মানুষের মনিকোঠায়

ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশীষ লাল সিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে থেকে শিখেছে রাজনৈতিক হাতেখড়ি ।

দ্য কোয়ারি ডেস্ক- নতুনরা কতটা আগ্রহী বাংলার বর্তমান রাজনীতিতে যোগদান করতে ? তারা কি আদৌ রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে চায় ?

এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়তো কঠিন , কিন্তু ব্যতিক্রমী ও রয়েছে যারা , আর পাঁচটা মেয়ের মতো নয় । তারাও চান চাকরি করেও রাজনীতির ময়দানে আসতে ।

শুধুমাত্র মানুষের হয়ে কিছু কাজ করার তাগিদে – ভোট – প্রার্থী – এই সবকিছুই তাদের কাছে একেবারে গুরুত্বহীন।

লড়াকু শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা

সেই রকমই এক লড়াকু মহিলা শর্মিষ্ঠা দেব সরকার । পেশায় এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা । নেশা মানুষের সাথে -মানুষের পাশে – মানুষের সঙ্গে লড়াই করে পথচলা।

বর্তমানে ওঁর ঠিকানা উত্তর দমদম পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড।

ত্রিপুরার সঙ্গে শর্মিষ্ঠার আত্মিক যোগ । পড়াশুনা থেকে শুরু করে জীবনের অনেকটা সময় ত্রিপুরাতে কাটানো ।

তারপর এই বাংলায় আশা,কম সময়েই অনেকের কাছেই খুব আপন হয়েছে শর্মিষ্ঠা ।

ওর সারল্যতা সবাইয়ের কাছে খুব আপন করেছে ওঁকে ।

ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশীষ লাল সিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে থেকে শিখেছে রাজনৈতিক হাতেখড়ি ।

ত্রিপুরার রাজনীতি বলুন , কিংবা এই রাজ্যের রাজনীতি সবকিছুতেই ও (শর্মিষ্ঠা ) খুব সাবলীল।

বর্তমানে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক প্রতিবাদ মঞ্চে শর্মিষ্ঠা কে বারবার দেখা গিয়েছে।

তা সে no nrc , no caa ইস্যুতে হোক কিংবা তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো রাজনৈতিক সভা মঞ্চে। শর্মিষ্ঠা কে আপনি পাবেনই।

২০১০ সালে যোগদান করেন প্রাইমারি টিচার্স সংগঠনে , বর্তমানে জেলা উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি শিক্ষা সেলের সেক্রেটারি শর্মিষ্ঠা দেব সরকার।

আরও পড়ুন : আস্থা হারিয়েছে মমতার দল, বিকল্প হতে পারে বাম-কংগ্রেসের সার্বিক জোট

সাম্প্রতিক অতীতে দিল্লির ধর্ণা মঞ্চে ও দেখা গিয়েছিলো শর্মিষ্ঠা কে ।

এরপর ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প থেকে শুরু করে গণবিবাহ , কিংবা প্রাইমারি শিক্ষা সেলের অন্তর্গত কোনো টুর্নামেন্ট এ সবসময় দেখা যাবে শর্মিষ্ঠা কে।

সবমিলিয়ে শর্মিষ্ঠা এর মতো মেয়েদের কেই হয়তো দরকার হয় ভোট ময়দানের মঞ্চে ।

যারা রাজনীতির মারপ্যাঁচ ছেড়ে দিয়ে , প্রটোকল ভেঙে চলে আসতেই পারে সামনের সারিতে , তার জন্য দরকার সময়ের , সঙ্গে দরকার হয় মানুষের ভালোবাসার।

নেত্রী নন , ভোট নয় তিনি থাকতে চান সব মানুষের পাশে থেকে কাজ করার নেশায়।

The Quiry-এর পথচলার প্রথম দিনে এসে সেদিন ও একান্ত আড্ডায় সাংবাদিক রাহুল গুপ্ত কে বলেছিলেন ওর স্বপ্ন , ওর কাজ নিয়ে নানা কথা।

উঠে এসেছিলো কোনো ভোট ময়দানে নয় , মানুষের মনিকোঠায় চিরস্থায়ী হয়েই থাকতে চান শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা।

সম্পর্কিত পোস্ট