সুরে ফিরতেই পুরস্কৃত শতাব্দী, পেলেন রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি পদ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিদ্রোহী ইতি টানতেই পুরস্কৃত শতাব্দী রায়। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি হচ্ছেন শতাব্দী রায়। একইসঙ্গে সহ সভাপতি হচ্ছেন মোয়াজ্জেম হোসেন, শংকর চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার দিনই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শনিবার বারবেলায় নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন বীরভূমের সাংসদ। তবে আচমকা শতাব্দী যে বেলাইনে হাঁটবেন তা বোধহয় কেউই ভাবেননি। তড়িঘড়ি ময়দানে নেমে পড়ে শাসক শিবির।
২৪ ঘন্টার মধ্যে ড্যামজ কন্ট্রোলে সমর্থও হয় শাসক শিবির। শনিবার সকালে ফেসবুকের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়শী প্রশংসা করেন । তারপর গুমোট ভাব কাটাতে সপরিবার গোয়া বেরাতে যিনি। কথা ছিল ফিরে এসে দলের কাজে যোগ দেবেন তিনি।
রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুরে আসতেই শতাব্দীকে পদ দিয়ে পুরস্কৃত করে দলত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে চাইল তৃণমূল। কারণ শনিবারই বিষ্ণুপুরের সংসদ সৌমিত্র খাঁ মন্তব্য করেছিলেন শতাব্দী রায় বিজেপিতে যোগ দেবেন। তাকে নাটক করে তৃণমূল নেত্রী রুখে দিলেন। তবে বেশিদিন সেটা সম্ভব হবে না।
উত্তরপ্রদেশের পর মধ্যপ্রদেশ, এক সপ্তাহে নাবালিকাকে দু’বার অপহরণ করে লাগাতার ধর্ষণ
আগামী দিনে শতাব্দীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ জল্পনায় সমস্ত ইতি টেনে নির্বাচনের আগে রাজ্য সহ-সভাপতি পদে বসিয়ে তার গুরুত্ব বোঝাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। এই বিষয়ে শতাব্দী রায় বলেন, নতুন পদ পেয়ে ভালোই লাগছে। নতুন দায়িত্ব। আরও বেশী করে কাজ করতে হবে আগামী দিনে।
প্রসঙ্গত, দলের অন্দরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বেসুরো হয়ে উঠছেন অনেক নেতৃত্বই। মনে করা হয়েছিল হয়ত বেসুরো নেতৃত্বদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এখনো পর্যন্ত তার কোনো সম্ভবনাই দেখা যাচ্ছে না।
তারই মাঝে বীরভূমের তারকা সাংসদকে রুখে, পদ দিয়ে হয়ত কিছুটা ভাঙন রোখার সক্রিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবির। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।