তৃণমূলেই থাকছেন শতাব্দী, বৈঠক শেষে জানালেন তারকা সাংসদ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নতুন বছরের তৃতীয় শনিবারটি বঙ্গ রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তার কারণ শনির বার বেলায় ফেসবুক লাইভ করছেন রাজ্যের দাপুটে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বার্তা দেবেন তিনি সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
এরই মাঝে নতুন করে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল শতাব্দী রায়কে নিয়ে। বীরভূমে তৃণমূল সাংসদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা ফেসবুকের মাধ্যমে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন। শনিবার বেলা দুটোর সময় ফেসবুক লাইভ করে তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল।
তারপরেই রাজনৈতিক মহলে রব উঠেছিল বীরভূমের সংসদ শতাব্দী রায় জার্সি বদল করে নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে। শুধু তাই নয় শনিবার সকালে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ উঠে আসে সেখানে। তবে সবকিছুই তারকা সাংসদ অস্বীকার করেছিলেন এমনটাও কিন্তু নয়।
শতাব্দী রায়কে নিয়ে যখন ক্রমেই অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে তখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ ময়দানে নামেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শুক্রবার বেলায় শতাব্দী রায়ের বাড়িতে হাজির হন কুনাল ঘোষ। দীর্ঘক্ষন কথা হয় সাংসদের সঙ্গে। তবে কি বিষয়ে কথা হয়েছে সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন কথা তিনি বলেননি।
দলের সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গেও কথা বলেন শতাব্দী। সৌগত বাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শতাব্দীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেছেন। যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তা মিটিয়ে নেওয়া যায় যাতে সেটাই আলোচনা করে দেখা হবে।
এর পরপরই শুক্রবার রাতে শতাব্দী রায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । দীর্ঘ বৈঠকে নিজের সমস্যার কথা অভিষেককে জানান সাংসদ। অভিষেক প্রতিশ্রুতি দেয় সমস্যার সমাধান করা হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।
বৈঠক শেষে শতাব্দী নিজে জানিয়েছেন শনিবার তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না। জোর গলাতেও তিনি দাবি করেন তিনি দলের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না ধরেই নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে শতাব্দী রায় জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জন্য দলে এসেছিলাম। ওর জন্যই আছি। যারা তৃণমূলকে ভালোবাসেন তারা সকলেই দলের সঙ্গে রয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে বীরভূমের এই তারকা সাংসদকে হাতছাড়া করতে মোটেও রাজি নয় শাসক শিবির। তাই তড়িঘড়ি কি কারণে তার ক্ষোভ তা জানার পাশাপাশি সেই ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির।