ভোটের আগে আকালির সঙ্গে মায়াবতীর জোট, সমীকরণ বদলাচ্ছে পাঞ্জাবে
।। শুভজিৎ চক্রবর্তী ।।
২০২২ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাচ্ছে পাঞ্জাবে। এবার শিরোমণি আকালি দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছে মায়াবতীর দল বহুজন সমাজবাদী পার্টি। বিজেপির পুরাতন শরীকের সঙ্গে এই জোট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে শোরগোল উঠেছিল গোটা রাজ্যে।
মোদি সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে মোদি সরকারের কেবিনেট ছাড়েন হরশিমরত কৌর বাদল। তার এক সপ্তাহ পরেই এনডিএ শিবির ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে আকালি দলের নেতারা। গত বছরের নভেম্বর থেকে একটানা কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন সুখবীর সিং বাদলের দল।
এবার নির্বাচনের আগে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে পাঞ্জাবের রাজনীতিতে। পাঞ্জাবের ১১৭ টি আসনের মধ্যে ৯৭ টি আসনে লড়াই করতে চাইছে শিরোমণি আকালি দল। বাকি ২০ টি আসন মায়াবতীর বিএসপির জন্য ছাড়তে চাইছেন তাঁরা।
নতুন জোট নিয়ে সুখবীর সিং বাদল বলেন, পাঞ্জাবের রাজনীতিতে এটি নতুন দিন। ভবিষ্যতে বিএসপি এবং আকালি দল একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
গত সপ্তাহেই নতুন জোটের আভাস দিয়েছেন সুখবীর সিং। কংগ্রেস, বিজেপি এবং আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে নতুন জোট পাঞ্জাবের রাজনীতিতে চমক আনতে চলেছে। তবে বিজেপির সঙ্গে তাঁরা থাকছেন না৷ তা আগেই স্পষ্ট করেছেন৷ যদিও এই জোট নতুন নয়।
মুকুল রায়কে ‘Z’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিল রাজ্য সরকার
এর আগে ১৯৯৬ এর লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের ১৩ টি আসনের মধ্যে ৮ টি আসন পায় আকালি দল বাকি তিনটি আসন পায় বিএসপি। এবারের নির্বাচনেও পাঞ্জাবের ৩১ শতাংশ দলিত ভোট গ্রহণে বিএসপি সঙ্গে জোট অনেকটা সাহায্য করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এমনকি ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ১৩ টি আসনেই প্রার্থী দিতে চাইছে তাঁরা৷
এবারের পাঞ্জাবের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, দীর্ঘ সময়ের কৃষক আন্দোলনে শামিল হয়েছেন পাঞ্জাবের লক্ষাধিক কৃষক।তাই এবারের ভোটে বিজেপির পালে হাওয়া লাগবে না। এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷ কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাঞ্জাবে এগিয়ে কোন দল? তার উত্তর মিলবে পাঞ্জাবের নির্বাচন থেকেই।