‘মিরজাফর’ তকমায় ক্ষুব্ধ কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোন বন্ধ তৃণমূলের প্রবীন নেতা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর। কাঁথিতে দলের সভায় যাননি। তবে বাড়ির অদূরে মাইক লাগিয়ে তৃণমূলের জনসভা থেকে যে ভাবে নানান বিশেষনে আক্রমন করা হচ্ছে,তাতে ব্যাথিত হয়েছেন শিশির বাবু ।

ক্ষুব্ধ অশীতিপর শিশির অধিকারী বলেন,” আমি যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম, অবিভক্ত মেদিনীপুরে একটাও নির্বাচিত পদ ছিল না। আমি যোগ দেওয়ার পর দলে দলে সকলে যোগ দিল। আর আমি এখন হলাম মিরজাফর! আর অধিকারীরা হল বেইমান! বাহ্!’’

তিনি এখনও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি । তবে শিশিরের গলায় খানিকটা শ্লেষ, ‘‘জেলা সভাপতি এখনও আছি কি না জানি না! কিছুই জানি না! না দিস সাইড, না দ্যাট সাইড।”

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/mamata-banerjee-i-extend-my-sincere-gratitude-to-our-maa-mati-manush-and-all-our-workers/

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘আমি কিন্তু এখনও নেত্রীর সঙ্গেই আছি। ববি, সৌগত রায় এসে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করে বক্তৃতা দিয়েছে। সৌগতবাবু এই শহরে দাঁড়িয়ে আমার আর আমার পরিবারের নামে যা বলেছেন, তা কেউ কোনওদিন বলেনি! এত জঘন্য ভাষায় আমার পরিবারকে আক্রমণ করা হল!’’

পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে যে ভাবে সৌম্যেন্দুকে সরানো হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ এবং অনুযোগ রয়েছে শিশির বাবুর। “আমার ছোট ছেলে সৌম্যেন্দু তো অধিকারী বাড়িতে নেত্রীর সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিল। কেউ নেত্রীর নামে দুটো কথা বললে টেবিলের উপর উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করত। পারলে চড়চাপড়ও লাগিয়ে দিত। ওকে যে ভাবে সরানো হল, সেটা কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে? ”

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/soumendu-adhikari-has-joined-the-bjp-today-dada-shuvendur-announced/

হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, এতো অপমান, এতো আক্রমনের জবাব দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ। ছেলেরা বাড়ি থেকে বেরোতে কঠোর ভাবে বারণ করে দিয়েছে। বলেছে ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করতে।

ছেলেদের বারণ মেনে তিনি আপাতত ভ্যাকসিনের অপেক্ষায়। ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলেই দিল্লি যাবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট