ইন্দোরে আটকে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি শিবরাজসিং চৌহানের
সর্নিকা দত্ত
পরিযায়ীদের নিয়ে রাজনীতি অব্যাহত বিজেপির। আগে থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে চায় না বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। তাদের এমন অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকারের থেকে প্রয়োজনীয় ট্রেনের জন্য অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। আর সে কারণেই বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো যাচ্ছে না।
সোমবার সেই অভিযোগ মমতা সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করল বিজেপি। বিজেপির রাজনীতি আরও জোরদার করতে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজসিং চৌহান।
এদিন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যেই লেখা চিঠিতে, ওই রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য আবেদন করেছেন।
তিনি লিখেছেন, মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ইন্দোরে বহু মানুষ জীবিকার জন্য যান, যাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে সেখানে আটকে রয়েছেন । এখন ওই মানুষেরা ঘরে ফিরতে চাইছেন। তাঁর অনুরোধ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেন কেন্দ্রের কাছে এদের ফেরানোর জন্য ট্রেনের দাবি করেন, যাতে এই মানুষদের ইন্দোর থেকে কলকাতা ফেরানো সম্ভব হয়।
বারাসাতের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির তরফে ৫৫০ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল খাদ্য সামগ্রী
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে শিবরাজ সিং চৌহান লিখেছেন, বাংলার বাসিন্দারা প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে ঘরে ফিরতে চান। ব্যক্তিগত উদ্যোগেই অনেকে ফিরছেন। এভাবে ফেরা বিপদজনক মমতা দিদি আপনি উদ্যোগ নিন। তাহলে সকলকে ট্রেনের মাধ্যমে সরাসরি ঘরে ফেরানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। তারপর থেকেই বিজেপির মূল অবস্থান ছিল এটাই দেখানো যে রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে উৎসাহী নয়।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের এই নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপের ঘটনা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হল মধ্যপ্রদেশের নাম।
এদিকে এ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বও পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে রাজ্যকে কোণঠাসা করতে ছাড়েনি। এদিনই বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ আরও একবার পরিযায়ী ইস্যুতে রাজ্যকেই দুষলেন।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার আদেও পরিযায়ীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিত নয়, আর সে কারণেই পরিযায়ীদের ফিরিয়ে আনতে ট্রেনের অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার।
তিনি এ অভিযোগও করেছেন, ঘরে ফেরার পথে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাবতীয় দুর্ঘটনার দায় রাজ্যের। রাজ্য যদি সঠিক সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হতো তাহলে এভাবে তাদের ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে হত না। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকার এই দুর্ঘটনা গুলির দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।