দলনেত্রীর জন্য ভবানীপুর আসন থেকে পদত্যাগ শোভনদেবের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক : দলনেত্রীর জন্য ভবানীপুর বিধাসভা আসনের বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দেন। ভবানীপুর আসন থেকে উপনির্বাচনে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পদত্যাগের পরে শোভনদেব বলেন, দলনেত্রীকে আসন ছেড়ে দিতেই তিনি ইস্তফা দিলেন।

এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে যখন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও মন্ত্রিত্ব থেকে তিনি পদত্যাগ দেবেন কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। পদত্যাগের বিষয়ে শোভনদেব নিজে জানান, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। ৭৩ নম্বর ছাড়াও ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রটিতে রয়েছে কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড নম্বর ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৪, ৭৭ ও ৮২।

এবার মমতা ভবানীপুর থেকে প্রার্থী না হলেও, তিনি তাঁর বহু পরিচিত, দলের অন্যতম বিশ্বস্ত সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে এখান থেকে প্রার্থী করেন। তিনি নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হন।

এর আগে ২০১১ সালে যখন মমতা বামেদের হারিয়ে রাজ্যের শাসন ভার গ্রহণ করেছিলেন। উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ৪৯,৯৩৬ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন মমতা। মমতার জয়ের ব্যবধান ছিল ২১.৯১ শতাংশ।

স্পষ্টতই এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি।তৃণমূলের অনেক পুরনো সৈনিক শোভনদেব। তিনিই দলের প্রথম বিধায়ক। একদা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন শোভনদেব।

তৃণমূল গঠনের পর ১৯৯৮ সালে বারুইপুরের বিধায়ক পদ ছেড়ে রাসবিহারী উপ নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন। কংগ্রেস বিধায়ক হৈমী বসুর মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। শোভনদেবের সেই উপ নির্বাচনে জয়েই প্রথম বিধানসভায় প্রবেশ তৃণমূলের।

সম্পর্কিত পোস্ট