নেই পর্যাপ্ত টিকা, ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণ পিছিয়ে দেওয়া উচিত ছিল- এনকে অরোরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃতীয় দফার টিকাকরণের 18 থেকে 44 বছর বয়সীদের রাখাটা যুক্তিযুক্ত হয়নি। এমনই মত প্রকাশ করলেন কেন্দ্রের কোভিড বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান ডক্টর এন কে অরোরা।
তিনি জানিয়েছেন, দেশে এখন টিকার পর্যাপ্ত যোগান নেই। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার এবং 45 ঊর্ধ্বদের দেওয়ার মতো টিকার যোগান রয়েছে। 18 থেকে 44 বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে দুটি করে ডোজ দিতে হলে যে পরিমাণ টিকার দরকার তার সরকারের হাতে নেই। সময়সাপেক্ষ টিকার উৎপাদনও। তার মতে কমবয়সীদের টিকাকরণের কাজ আর একটু পরেই শুরু করাই উচিত ছিল।
উল্লেখ্য মে-জুন মাসের মধ্যে দেশে 30 কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সরকার। প্রথম দফার ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ,প্রশাসন ,পুরোকর্মী, সাফাই কর্মী সহ করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণের কাজ শুরু হয়।
দ্বিতীয় দফায় অগ্রাধিকার পান 45 ঊর্ধ্ব কোমর্বিডিটি রোগী এবং বয়স্করা। সেই তালিকা বাড়িয়ে 45 ঊর্ধ্বদের টিকাকরণের কাজ চলতে থাকে।
তৃতীয় দফায় কমবয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আর এখানেই সরকারের সিদ্ধান্তের খুঁত ধরছেন ডাক্তার এন কে অরোরা।
তাঁর কথায়, ভ্যাকসিনের সঞ্চয় কতটা রয়েছে সেটা হিসাব করেই টিকাকরণের তালিকা বাড়ানো উচিত ছিল। সেটা হিসাব না করে সেই তালিকায় কমবয়সীদের যুক্ত করা গোটা দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের এই সংকট তৈরি হয়েছে। তাছাড়া অগ্রাধিকার পাচ্ছে এই সময় যারা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টিকার ডোজ পাওয়া গেলে তবেই এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব। যা এই মুহূর্তে নেই।
তিনি আরো বলেছেন, দেশে করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে মৃত্যুহার কমানোর জন্যই কম বয়সীদের টিকাকরণের তালিকা আওতাভুক্ত করা হয়। কিন্তু ভ্যাকসিন তৈরি করা এবং তার উৎপাদন বাড়ানো এত সহজ কাজ নয়। এখন বেশি দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় টিকাও চলে এসেছে। জুন মাসে আরও কয়েকটি টিকা দেশের বাজারে আসার কথা। সব মিলিয়ে 50 থেকে 55 কোটি 10 তৈরি হবে আশা করা হচ্ছে জুন মাসের মধ্যে। সেক্ষেত্রে টিকাকরণ এ কোন সমস্যা থাকবে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর বিনোদ কুমার পাল, শুক্রবারই বলেছেন অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যাকসিনের 216 কোটি ডোজ তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত 293.8 কোটি টিকা দেশের বাজারে চলে আসবে।