মিছিলে অনুপস্থিত শোভন-বৈশাখী, প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন শীর্ষ নেতৃত্ব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ সময়ের নাটকীয়তার পর অবশেষে মিছিল শুরু হল বিজেপির। কিন্তু সোমবারের আলিপুর থেকে মুরলীধর সেন লেন অবধি মিছিলে যেই দুই ব্যক্তিত্বকে আলোচনা হয়েছিল, তারাই ছিলেন অনুপস্থিত। নিজেদের ‘মান-অভিমান’ নিয়ে থাকলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর দল কি সিদ্ধান্ত নেবে, সেটার থেকেও বড় হল বিজেপির জন্য এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না তো?

প্রথম দিকে পুলিশের তরফে অনুমতি না মেলার কারণে প্রশ্ন উঠেছিল তৃণমূলের খাস তালুকে বিজেপি মিছিলে নামবে তো? যদিও এই সমস্ত কিছুকে সরিয়ে রেখেই মিছিল শুরু করলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। পুলিশের লিখিত অনুমতি ছাড়াই  আলিপুর থেকে শুরু হয় মিছিল। উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় এবং বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সহ একাধিক নেতৃত্ব।

আরও পড়ুনঃ পদ্ম পাঁকে ফুটবে, হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে ফুটবে নাঃ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যে

২০১৯ এর ১৪ অগাস্ট দিল্লির সদর দফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পদ্ম শিবিরে যোগদানের পরেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেননি দু’জনেই। খানিকটা মনোমালিন্য মিটিয়ে কলকাতা জোনে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে পর্যবেক্ষক এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহ-আহবায়ক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনে গোলপার্কের বাড়িতে উপস্থিত হন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শেষ অবধি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলেন শোভন-বৈশাখী। যদিও এদিনের মিছিলে দুই নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, এটা বিজেপির মিছিল। কে এল, কে না এল এতে কিছু আসে যায় না।

এরই মধ্যে বিজেপির রাজ্য দফতরে বিজেপির তরফে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বরাদ্দ ঘরে তালা লাগানো হয়েছে। কিছুদিন আগে এই ঘর বরাদ্দ করা হয়েছিল। সোমবার মিছিলে অনুপস্থিত থাকার পর সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

অন্যদিকে, আলিপুর থেকে মিছিল এগোতেই ওয়াটগঞ্জে তৃণমূলের অস্থায়ী মঞ্চের সামনে উপস্থিত হয় মিছিল। পুলিশের উপস্থিতি এড়িয়ে চলে বাকযুদ্ধ। এমনকি বিজেপির মিছিলে জুতো ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে পুলিশের তৎপরতায় সেই সংঘর্ষ এড়ানো যায়।

সব মিলিয়ে, একদিকে যখন আদি নব্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ দিচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্ব, ঠিক তখনই বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল নির্বাচনের আগে বিড়ম্বনা কারণ হয়ে দাঁড়ালো। এর পর কি পদক্ষেপ নেবে দল? তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট