বিজেপির রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েও খুশি নন শোভন, ঠিক কী চাইছেন তিনি?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহের মাঝেই বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোমর কষে মুখোমুখি লড়াইতে অংশ নিতে সব রাজনৈতিক দলই শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতি পর্ব। ভার্চুয়াল সভা থেকে শুরু করে সাংবাদিক বৈঠক। বিভিন্ন ইস্যুতে কোন পক্ষই জমি ছাড়তে নারাজ একে অপরকে। তারমধ্যেও জেলায় জেলায় দলবদলের হিড়িক অব্যাহত।
রাজ্য কমিটির তালিকা প্রকাশ করে আগেই রাজনৈতিক মহলে চমক দিয়েছিল তৃণমূল। নতুন- পুরোনো সংমিশ্রনে সেই তালিকায় অপ্রত্যাশিত অনেকেই জায়গা করে নিয়েছেন। তবে এবার প্রকাশিত হল বিজেপির রাজ্য কমিটির তালিকা। সেই তালিকায় যেমন জায়গা করে নিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, তেমনি ঠাঁই পাননি বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য কমিটির পাশাপাশি একটি ‘পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ আমন্ত্রিত’ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে অনেক নতুন মুখ জায়গা পেয়েছে। রাজ্য কমিটিতেও ২৫ শতাংশ নতুন মুখ রয়েছে।
পদাধিকারী, পদাধিকারী মণ্ডলীতে বিশেষ আমন্ত্রিত, কর্মসমিতিতে বিশেষ আমন্ত্রিত এবং কর্মসমিতিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত মিলিয়ে মোট ২৩০ জনের নামের তালিকা এদিন বিজেপির তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন।
শোভন ছাড়াও বিজেপির কর্মসমিতিতে ঠাঁই পেয়েছেন জয়ন্ত রায়, জন বার্লা, রাজু বিস্ত, জগন্নাথ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, কুনার হেমব্রম, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, পঙ্কজ রায়, শঙ্কুদেব পন্ডা, সৌমিত্র খাঁ, অগ্নিমিত্রা পল, খগেন মুর্মু, স্বপন দাস, শুভ্রাংশু রায়-সহ আরও অনেকে।
চমক এসেছে রাজ্য কমিটিতে মহিলা নতুন মুখদের মধ্যেও। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বাদ পড়লেও জায়গা পেয়েছেন জোতির্ময়ী শিকদার, অর্চনা মজুমদার, দেবযানী সেনগুপ্ত, প্রফেসর বীথিকা মণ্ডল, বিশ্বভারতীর প্রফেসর পুষ্পিতা, বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মধুছন্দা কর।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/afghan-vp-amrullah-saleh-escapes-deadly-bomb-attack-in-kabul/
তবে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েও অস্বস্তি কাটাতে পারলেন না একদা মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন কানন। একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, রাজ্যকমিটিতে অন্তর্ভুক্তির বিষয় তাঁর সঙ্গে কেউ আলোচনা করেননি।
বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ‘স্থায়ী আমন্ত্রিত’ হিসেবে কর্মসমিতিতে ঢোকানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। সায়ন্তন বসুর কথায়,“দলে এই মুহূ্র্তে যত জন সাংসদ এবং বিধায়ক রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই কর্মসমিতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় একজন বিধায়ক এবং তিনি দলেই রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনিও কর্মসমিতিতেই থাকবেন।”
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে যেদিন মুকুল রায় সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে গেরুয়া ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন থেকেই নতুন ধারায় বইতে শুরু করে করে বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ। তবে বিজেপিতে যোগ দিয়েও দীর্ঘদিন নিস্ক্রিয় থেকেছেন তারা। নতুন করে শোভন বাবু ঘরওয়াপসি হচ্ছেন বলেও গুঞ্জন ওঠে। তারপরেও বিজেপির রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েও খুশি নন তিনি।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। আসলে ঠিক কী চাইছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? তিনি কী সত্যিই আবার ফিরছেন তৃণমূল শিবিরে? নাকি গেরুয়া শিবিরের পক্ষে দাঁড়িয়ে বিধানসভা নির্বাচনে দিদির বিরুদ্ধে লড়বেন কানন? উত্তর জানতে অপেক্ষা করতেই হবে।