ঘনীভূত হচ্ছে সুশান্ত মৃত্যু রহস্য, খোঁজ নেই রিয়ার
দ্য কোয়ারি ডেস্ক:অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্য মৃত্যু তদন্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে। তদন্তের কাজে যুক্ত এক অফিসারকে জোর করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হল। এমনটাই অভিযোগ উঠল বৃহন্মুবই পুরসভার আধিকারকদের বিরুদ্ধে৷
বিহার ডিজিপি রবিবার রাতে টুইট করে জানান, পুরসভার আধিকারিকরা জোর করে আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারিকে জোর করে ঢুকিয়ে রেখেছেন।এতে বেজায় চটেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বিষয়টি অরাজনৈতিক বলে দাবী করেছেন তিনি।
গভীর রাতে ডিজিপির তরফে টুইট করে জানানো হয়, অফিসিয়াল কাজে নিযুক্ত আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারি মুম্বইতে উপস্থিত হতেই বিএমসি আধিকারিকরা রাত ১১ টা নাগাদ তাঁকে জোর করে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য করেন।
আগামী ১৫ অগাস্ট অবধি আইপিএস অফিসারকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অনেক অনুরোধ করার পর আইপিএস মেসে কোনও জায়গা না মেলায় গোরেগাঁওয়ের একটি গেস্ট হাউসে রয়েছেন তিনি।
পুরসভার আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়মানুযায়ী কোনও ব্যক্তি বাইরের কোনও রাজ্য থেকে আসার পর তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়।
এর আগে থেকেই অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তের জন্য মুম্বইয়ে উপস্থিত হয়েছিল বিহার পুলিশের সাত জনের একটি টিম। এবার আইপিএস অফিসারের আগমনে বিষয়টি নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জানিয়েছেন, বিনয় তিওয়ারির সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা একেবারে কাম্য নয়। এটা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। বিহার পুলিশ তার কাজ করছে। এবিষয়ে বিহার পুলিশের ডিজিপি সর্বদা মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
এমনিতেই শুরু থেকে মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল সুশান্ত সিং হত্যার তদন্তে বিহার পুলিশকে কোনওভাবেই সাহায্য করছে না মুম্বই পুলিশ। সেই জল্পনায় খানিকটা ঘি ঢেলেছে মুম্বই পুলিশ।
সূত্রের খবর, খুনের তদন্তের দায়িত্বভার বিহার পুলিশ পাওয়ার পর থেকে কোনও নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ তুলেছে মুম্বই পুলিশ। এমনকি তদন্তের সময় তাদের মুভমেন্ট সম্পর্কে বিহার পুলিশের তরফে কোনও কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি জানিয়েছেন, কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় থাকা বলিড মাফিয়াদের ভয় পাচ্ছেন উদ্ধব সরকার। বিহার পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ও তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় পর অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পাটনার রাজেন্দ্র নগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা।
সুশান্তের বাবা একেসিং পুলিশের কাছে ছয় পাতার অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেখানে একটি জায়গায় তিনি উল্লেখ করেন সুশান্তের কোটাক মহিন্দ্রা একাউন্ট থেকে অন্য একটি একাউন্টে ১৫ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে।
সেই একাউন্টের মালিক সুশান্ত নয়। অভিযুক্তের তালিকায় অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। ঘটনা সামনে আসার পরেই তদন্তে নামে ইডি।
দীর্ঘ ছয় পাতার এফআইআরে রিয়া চক্রবর্তী সহ তার ভাই শৌভিক এবং আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৬,৩৪১,৩৪২,৩৮০,৪০৬ এবং ৪২০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এরপর রিয়া চক্রবর্তীর প্রকাশ করা একটি ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও পুলিশের তরফে রিয়ার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।