সভায় ঢিল, বক্তব্য রাখতে পারলেন না শুভেন্দু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপিতে যোগদানের পর নন্দীগ্রামে প্রথমবার হাইভোল্টেজ জনসভার আয়োজন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সভার মাঝেই তাল কাটল। সভায় বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেইসময়েই সভার একপাশে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। আচমকাই ঢিল পড়তে শুরু করে। মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বলতে শুরু করেন তাঁদের সভাকে ভন্ডুল করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। “বিশ্বাস করেন তো আমাকে” সভায় উপস্থিত জনগণের কাছে প্রশ্নও তুলে ধরেন শুভেন্দু।
জনগনকে সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বকে। বক্তৃতা থামিয়ে মাইক বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হল কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। যদিও সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুর্বে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শোনান। তিনি বলেন, গত বছর যারা আটকে ছিল তাঁরাই এখন মিছিলের জন্য ডাকছে। অর্থাৎ তৎকালীন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব যে দিলীপ ঘোষকে রুখে দেওয়া হয়েছিল তা আকার ইঙ্গিতে স্পষ্ট করেছেন তিনি। এবার বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু একই তিক্ততা ফিরে এল বিজেপির সমাবেশকে ঘিরে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/massive-tension-before-the-meeting-of-shuvendu-adhikari-in-nandigram/
যদিও শুভেন্দু অধিকারীকে ফের বলতে শোনা যায়। সিপিএমের আমলে এরকম কেউ ঢিল ছোঁড়েনি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পরেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তৃতা শেষ করেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। জনতার ঢলে নন্দীগ্রামের বিজেপির বিশৃঙ্খলার কারণে অনেক বক্তৃতা দিতে পারলেন না শুভেন্দু। তবে পিঠে পিঠে জবাব দেবেন তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। ১৮ তারিখ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পর খেজুরির বিদ্যাপীঠ ময়দানে সভা করবেন তিনি।
এদিন বিজেপিতে যাওয়ার পর শুক্রবার শুভেন্দুর কাছে ছিল শক্তির পরীক্ষা। সভায় উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতারা। সভায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করলেও, যোগদানের অনুষ্ঠান ছোট করেই সারলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবারের সদস্যরা। ৪১ টি শহীদ পরিবারের মধ্যে শুভেন্দু সভামঞ্চের পাশের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ৩০ জন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।