শুভেন্দু – অগ্নিমিত্রার সাঁড়াশি চাপে বিপাকে শাসক শিবির
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার দক্ষিণ গেটের বাইরে গাড়ি রেখে ছাতা মাথায় দিয়ে শুভেন্দু চলে যান সচিবের ঘরে।
কারণ মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। তাই তার পদত্যাগ ঘিরে চলছে জল্পনা। সেই সমস্ত প্রস্তুতি সারতে চিঠি চাপাটি ভর্তি হলুদ ফাইল নিয়ে হাজির শুভেন্দু অধিকারী ও কিছু বিধায়ক।
গিয়ে দেখেন কোন কর্মী আজ নেই রিসিভিং সেকশনে ।কাগজপত্র তৈরি। বিধানসভার বাইরে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন ” আজ বলে গেলাম। আগামী কাল আবার আসব। যদি আগামীকাল রিসিভিং সেকশনে কোন কর্মী না থাকে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
জল্পনা বাড়ছে মুকুল রায়কে ঘিরে। যেহেতু তিনি বিজেপির বিধায়ক। ঠিক উল্টোদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য “শুভেন্দু বারবার দলত্যাগবিরোধী আইনের কথা বলছেন। নিজের ঘরকে সামলাক আগে। তার বাবা এবং ভাই দুজনই তৃণমূলের ভোটে জিতে আসা জনপ্রতিনিধি। আগে তাদের পদত্যাগ করতে বলুন। তারপরে কথা বলবেন।”
মুকুল রায় যদিও এখনও পদত্যাগ নিয়ে কোনো জবাব দেননি। তাহলে সেটা আইনি লড়াই হবে নাকি অন্য পথ, বিধানসভার অধিবেশনের সময় বোঝা যাবে।
পাশপাশি বিজেপি মহিলা মোর্চা সভাপতি ও আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। ঘরছাড়া মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ রাজ্য সরকার ধর্ষণকে বেশি গুরুত্ব দেয়। মানুষ দিশাহারা। নির্বাচন ঘটে যাওয়ার পর এখনো হিংসা অব্যাহত।
যদিও অগ্নিমিত্রা পলের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেছেন “অগ্নিমিত্রা পল নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন কিছু কর্মী সমর্থক নিয়ে। নির্বাচনের পর কোন সন্ত্রাস পূর্ব মেদিনীপুরে ঘটেনি। ”
একদিকে বিধানসভায় মুকুলের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা ও শুভেন্দুর পৌঁছে যাওয়া। তার তাৎপর্য তো অনেক। সবমিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হাইভোল্টেজ মাত্রা।
শুক্রবার শুনানি হবে নন্দীগ্রাম গণনার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মামলা করেছেন তার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতির এজলাসে তার শুনানি। ফের রাজনীতিতে তাপ উত্তাপ বাড়াবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
কারণ একদিকে যখন আজ বিজেপির নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন তখন উপস্থিত ছিলেন না কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। অরবিন্দ মেনন ও অমিত মালব্যদের কাছে রাজ্য বিজেপির অভিযোগ যারা দীর্ঘদিন বিজেপি কর্মী তারা গুরুত্ব পেল না কেনো? অথচ নবাগত তৃণমূল থেকে আসা নেতারা গুরুত্ব পেল!
এই নিয়ে যারপরনাই অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি নামতে চলেছে মাঠে। হয়ত খুব শীঘ্রই বা কোভিড সংকট কাটার পর।