বিষপানকারী ৫ জন সহ আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা মইদুলের নেতৃত্বে ভিড়ছেন তৃণমূলে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজনৈতিক নেতাদের দল বদলেরর সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা ও গোটা দেশ। এবার যে সরকারের বিরুদ্ধে এতদিন আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছিল সেই আন্দোলনকারীরাই যোগ দিচ্ছেন শাসক দলে। এ ঘটনা ঘটতে চলেছে এ রাজ্যের বুকেই।

অন্য জেলায় বদলি করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিকাশ ভবনের সামনে ২৪ আগস্ট বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ৫ শিক্ষিকা। যা নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এবার তাঁরাই যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে। শুধু তাই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির কাছে আদিগঙ্গায় নেমে যারা তুমুল বিক্ষোভ শামিল হয়েছিলেন তারাও যোগ দিচ্ছেন শাসক শিবিরে।

চমকের এখানেই শেষ নয় শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামও যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। সম্প্রতি বিকাশ ভবনের সামনে ৫ শিক্ষিকার বিষপান করে আত্মহত্যার ঘটনায় যাকে দায়ী করে গ্রেফতার করতে পুলিশ পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার তারও শিবির বদল।

জানা যাচ্ছে আগামী রবিবার ডায়মন্ড হারবারে ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে তারা অত্যন্ত খুশি। তাই তাঁর উপর ভরসা রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই তারা হাঁটতে চান। সমস্ত শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ তৃণমূলের সঙ্গে এবার থেকে থাকবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

এই সরকার বার বার রং বদলায়, কোনও ভাবেই বিশ্বাস করা যায় নাঃ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

তিনি আরও জানান, আমরা শিক্ষক সংগঠন। শিক্ষকদের স্বার্থটাই সবথেকে বড়। সেই জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ এসবের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি। আজ যেভাবে আন্দোলনের চাপে কৃষি বিল প্রত্যাহার করা হল তা ঐতিহাসিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্য সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। আমরা আন্দোলন করেছি ঠিকই। আমাদের দাবি কিছুটা মেনেছে রাজ্য। তাই আমরা আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখতে চাই।

এখানেই প্রশ্ন তাহলে আদিগঙ্গায় নেমে যে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল তা কেন? একই সঙ্গে যে সমস্ত শিক্ষিকারা বিকাশ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিষপান করে রাজ্য সরকারকে সমালোচনার মুখে ফেলেছিলেন সেই আন্দোলন কোন পথে যাবে?

মইদুল ইসলামের জবাব, লড়াই যে কোন সময় করা যায়। লড়াই করে দাবি মান্যতা পাওয়ানো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি।  রাজ্য সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা আমরা করেছি। তবে আমরা মনে করি সরকার যেভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনমুখী মনোভাব দেখাচ্ছে এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রতিটি খাতে অর্থ বরাদ্দ করছে তাতে নিশ্চিতভাবে আগামী দিনে শিক্ষকদের সমস্ত দাবি মান্যতা পাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট