রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির উপর নজরদারি, বিশিষ্ট চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি
রাজ্যে এখনই দৈনিক আক্রান্ত ২২ হাজারের বেশি। সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের বেশি পশ্চিমবঙ্গে, যা দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির থেকে অনেক বেশি।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির উপর সার্বিক নজরদারি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থার সুপারিশ করতে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। বিশিষ্ট চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অনুরূপ একটি কোভিড টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছিল নবান্ন। চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ, ভাইরোলজিস্টদের নিয়ে সেই কমিটি তৈরি হয়েছিল। এখন ফের বিশেষজ্ঞের কমিটি তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবন জানাচ্ছে, টিএল জয়সওয়াল কোভিড হাসপাতাল, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। কোভিড টেস্ট, কনট্যাক্ট ট্রেসিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে নজর রাখবে এই বিশেষজ্ঞের কমিটি।
রাজ্যে এখনই দৈনিক আক্রান্ত ২২ হাজারের বেশি। সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের বেশি পশ্চিমবঙ্গে, যা দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির থেকে অনেক বেশি। কলকাতাতে পজিটিভিটি রেট ধরা পড়েছে ৪০ শতাংশ। নবান্ন আগেই জানিয়েছিল, সংক্রমণ ঠেকাতে ফের কনটেনমেন্ট, মাইক্রোকনটেনমেন্ট জ়োন চালু করতে হবে।
কোভিড গাইডলাইনে একাধিক বদল, নয়া নির্দেশ জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকা
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দিযেছেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখে জেলায় জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা বা কনটেনমেন্ট জ়োন চালু করতে হবে। কোনও এলাকায় বা কনটেনমেন্ট জ়োনে চার থেকে পাঁচ জন আক্রান্তের হদিশ মিললেই সেই এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
এইসব এলাকায় কোভিড টেস্ট, কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়াতে হবে। মাস্ক বিধি আরও কড়া করতে হবে। এখনই কয়েকটি জেলায় সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন দোকান-বাজার বন্ধ রাখা হচ্ছে। ভিড় কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোন এলাকায় কোভিড টেস্ট বাড়াতে হবে, কাদের করোনা পরীক্ষা আগে করতে হবে, কারা অন্দরবাসে থাকবেন ইত্যাদি বিষয়ে মতামত দেবে এই কমিটি।