পুন্যার্থী শূন্য পুরীতে ১৪৪ ধারার বেষ্ঠনীতে পালিত হচ্ছে মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা। গতবারের মত এবছরও, করোনা পরিস্থিতিতে ভক্তশূণ্য ভাবেই পালিত হচ্ছে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। জারি ১৪৪ ধারা। তাই ঘরে বসেই একপ্রকার প্রভু দর্শণ করতে হচ্ছে পুণ্যার্থীদের। সরাসরি লাইভ সম্প্রচারও করা হচ্ছে ওড়িশা সরকারের তরফে।

চলতি বছরে ১২ জুলাই রথযাত্রা উৎসব। করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধের বেড়াজালেই তা আবদ্ধ। রয়েছে। শুধু সেবায়েত ও পূজারিরাই এবাও রথের রশি টানবেন।

শাস্ত্র অনুসারে, জৈষ্ঠমাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে মর্তে আবির্ভাব হয়েছিল জগন্নাথদেবের। তাই তিথিকে জগন্নাথ দেবের জন্মদিন হিসাবে পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনটিতে স্নানযাত্রা পালন হয় প্রতিবছর।

দেবস্নান পূর্ণিমার দিনে রত্নবেদী থেকে স্নানবেদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে পুষ্পাঞ্জলি অর্পন করেন সেবায়েতরা। সেখানে মঙ্গলারতির পর একে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রাকে স্নান করানো হয়। কথিত রয়েছে মন্দিরের দক্ষিণ প্রান্তের কুয়ো থেকে ১০৮ ঘড়া জল এনে চলে স্নানের প্রক্রিয়া।

কথিত রয়েছে, জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা যাতে সমস্ত দেবদেবীরা দেখতে পান তাই মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্নানবেদীর চারদিকে রত্নশোভিত চাঁদোয়া আবরণ দিয়ে রাখতেন। স্নান মঞ্চে জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রাকে নিয়ে আসার সময় তালপাতা এবং চামড়ের বাতাস দিয়ে নিয়ে আসা হয়।

সকল পূণার্থীরা যাতে স্নানযাত্রা দেখতে পান তাই উঁচু বেদীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোরের বেলায় ব্রহ্মার সঙ্গে স্নান করেন জগন্নাথ, বলরাম শুভদ্রা। স্নানের পর গণেশবেশ হয়ে থাকে। স্নানের পর জগন্নাথদেবের জ্বর হয়। জ্বর সারাতে ওষুধ, মিষ্টান্ন, পাচনের ব্যবস্থা করা হয়।

আজ থেকে দৈনিক ৪ লক্ষ করে টিকা প্রদান, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মন্দিরে জগমোহনের পাশে বিরাজ করে ঠাকুর জগন্নাথ। বলা হয়, মহাস্নানের পর তাঁর অঙ্গরাগবিহীন রূপ যাতে না কেউ দেখতে পায় সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে। স্নানযাত্রার পর থেকে ১৫ দিন বন্ধ থাকে পুরীর দরজা। এরপর নবসজ্জায় সজ্জিত হয়ে দর্শন দেন ভগবান জগন্নাথ। সেই উৎসবকে নবযৌবন উৎসব বলা হয়।

এই বছর করোনা সুরক্ষা দৃঢ় করার জন্য ছটি জোন তৈরি করা হয়েছে স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে। মোতায়েন রয়েছেন ৫ জন অতিরিক্ত এসপি। ৩৫ প্লটন পুলিশ বাহিনী,ও ২৩ জন ডিএসপি। মন্দির চত্ত্বরে রয়েছেন, ৪১ জনের বেশি ইন্সপেক্টর ও প্রায় ১৫০ জন আধিকারিক। এছাড়াও জগন্নাথ মন্দিরের আশপাশে এবং প্রবেশপথে ১৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট