মমতার মাস্টারস্ট্রোকঃ একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কেউ ক্ষুব্ধ আবার কেউ অভিমানী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে টিম মমতার খেলোয়াড়দের নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। এদিন কালীঘাটের বাড়িতে স্বয়ং দলনেত্রী চূড়ান্ত ২৯১ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন।
এদিনের প্রার্থী তালিকা জায়গা হয়নি অনেক চেনা মুখের। এই তালিকায় যেমন আছেন দাপুটে মন্ত্রী, আছেন মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী দীর্ঘদিনের বিধায়করাও। এদিন প্রার্থী তালিকা তাদের নাম দেখতে না পেয়ে কেউ অভিমানী কেউ আবার ক্ষুব্ধ, আবার কেউ একান্ত সৈনিকের মতো দিদির দেওয়া দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
একুশের প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি রাজ্যের
- অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের,
- কারিগরি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু,
- উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা,
- মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা,
- রত্না ঘোষ কর,
- জটু লাহিড়ি,
- ব্রজমোহন মুখোপাধ্যায়,
- রবীন ভট্টাচার্য,
- রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়,
- মালা সাহা,
- স্মিতা বক্সী,
- সোনালি গুহ,
- সমীর চক্রবর্তী,
- অমল আচার্য,
- অসিত মাঝি,
- জীবন মুখোপাধ্যায়,
- পরশ দত্ত,
- গৌরীশঙ্কর দত্ত,
- নার্গিস বেগম,
- দেবশ্রী রায়,
- জেমস কুজুর,
- শম্পা দরিপা,
- দীপেন্দু বিশ্বাস,
- রফিকুর রহমান,
- হিতেন বর্মণ,
- আশিস চক্রবর্তী,
- প্রদ্যুত ঘোষ
- মইনুদ্দিন সামস।
ভোট নয়, কৃষি আইন নিয়ে কথা হবে মহাসমাবেশেঃ হান্নান মোল্লা
এদিন টিকিট না পেয়ে প্রকাশ্যে কেঁদেই ফেললেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ। শুক্রবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা টিভিতে দেখে সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি জানতে পারেন, দল তাঁকে টিকিট দেয়নি।
শোনামাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েন সোনালি। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না দল আমাকে টিকিট দেয়নি! সবকিছু যেন দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে। একনিষ্ঠ ভাবে দল করার হয়তো এই পুরস্কারই প্রাপ্য ছিল।
সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে হতাশ গলায় বলতে শোনা গেছে, পিকে টিমের সব নির্দেশ পুঙ্খানুপুঙ্খ পালন করেছি। দিদিও বলতেন ভালো কাজ করছেন আপনি। আজ বয়সের কারণ দেখিয়ে আমাকে টিকিট দেওয়া হলো না। কিছুটা হতাশ লাগছে আর কি!
তৃণমূল বিধায়ক মইনুদ্দিন সামস আবার এদিন আরো এক ধাপ এগিয়ে টিকিট না পাওয়ায় জল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।হতাশ বর্তমান বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বলেছেন গোল করেও টিকিট পেলাম না। খারাপ লাগছে।
যদিও এদের মধ্যে বর্তমান মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এবং অমিত মিত্র বিষয়টি আলাদা। দলনেত্রী নিজে বলেছেন পূর্ণেন্দু বসুকে এই মুহূর্তে নন্দীগ্রামে দলনেত্রীকে সাহায্য করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আগামীদিনে দল তার কথা ভাববে। একইভাবে অসুস্থ অমিত মিত্রকে আর কোভিড পরিস্থিতিতে ভোটে দাঁড় করানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। সরকারে এলে তাকে নিশ্চিত কোন আসন থেকে জিতিয়ে আনা হবে।
এদিন আসন প্রত্যাশী হিসেবে অনেকেই ক্ষুব্দ। এই তালিকায় রয়েছেন ভাঙ্গড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। এ টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। সোশ্যাল সাইট ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, দলে তার প্রয়োজন ফুরিয়েছে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের হিন্দি সেলের নেতা দিনেশ বাজাজ টিকিট না পেয়ে মইনুদ্দিন শামসের মতই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মধ্যেই যারা তৃণমূলের টিকিট পেলেননা তাদের একটা অংশ অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছে।
এই অবস্থায় বিজেপি জানিয়েছে, যারা টিকিট পেলেননা তারা বিজেপিতে আসতে চাইলে স্বাগত। কিন্তু তাদের দল টিকিট দেবে এমন কথা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।