প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তার পর খোলা চিঠি কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ

প্রিয় প্রধানমন্ত্রী ,

আপনার কাছে কোনটা অগ্রাধিকার ?
থালা বাজানো ? মোমবাতি জ্বালানো ?
নাকি দেশের অর্থনীতি এবং গরিব মানুষকে বাঁচানো ?

আগে থেকে পরিকল্পনা না করে লক ডাউন ঘোষণা করলেন । এর আগেই আপনার আগের ভুল সিদ্ধান্ত গুলো ( নোটবন্দি, ত্রুটিপূর্ণ জি এস টি ) দেশের অর্থনীতি কে খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে। আপনার ভাষণে দেশের মানুষ কি ভাবে বাঁচবে তাঁর তো কোন কথা নেই।

পরিযায়ী শ্রমিকদের আগেই তাঁদের বাড়ি চলে যেতে বলতে পারতেন। তাহলে আপনার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে গরিব মানুষগুলোকে বিষ দিয়ে স্নান করাতে হত না।

আপনার কাছে এই গরিব মানুষগুলো তাঁদের বিরুদ্ধে এই অমানবিক কাজের জন্য একটু সহানুভুতি আশা করেছিল। সহানুভুতি পেলো না।

আরও পড়ুনঃছাগল দিয়ে লাঙল চাষ হয় না, থালা বাজাও মোমবাতি জ্বালাও

যারা মাইলের পর মাইল হেটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে রাস্তায় মারা গেলেন তাঁদের পরিবারের উদ্দেশেও কিছু বললেন না।

আমরা ভেবেছিলাম আপনি অন্ততঃ ন্যায় প্রকল্পের মত কিছু ঘোষণা করবেন যাতে গরিবমানুষের ব্যাঙ্কের খাতায় সরাসরি অর্থ পৌঁছত। তাও করলেন না।

WHO -র পরামর্শ মত আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার পর্যাপ্ত পরীক্ষা হচ্ছে কোথায় ? তার জন্য পরিকাঠামো কোথায় ? আপনি এই বিষয়ে কোন কথা বললেন না।

চিকিৎসক এবং এর সাথে যুক্ত মানুষগুলির সুরক্ষার ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনি চুপ করে থাকলেন।

বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু প্রায় ২০ ডলারে নেমেছে। ডিজেলের দাম কমিয়ে কৃষকের কষ্ট লাঘব করার কোন ঘোষণা আপনার ভাষণে ছিল না বলে হতাশ হয়েছি।

বাজারে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই বিষয়েও আপনি চুপ করে থাকলেন।

তবে দেশের মানুষের উদ্দেশে আপনি যে বার্তা দিলেন, তা থেকে ভারতবাসী কি পেল?

আপনি থালা বাজান আর মোমবাতি জ্বালান তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু দয়াকরে দেশের মানুষকে দূরদর্শনের সামনে টেনে নিয়ে এসে আর নাটক করবেন না।
শুভেচ্ছা সহ,

সোমেন মিত্র

সম্পর্কিত পোস্ট