জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ির আসতে নিষেধ, অপমানে আত্মঘাতী জামাই !

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ির আসতে নিষেধ। অপমানে আত্মঘাতী জামাই। ষষ্ঠীর দিন সকালেই দেখা গেল জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমা হাসনাবাদ থানা এলাকায়।

বছর ৩৫-র টুপাই মন্ডলের তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল মাটিয়া থানার চাঁপাপুকুর গ্রামে শ্রাবণী মণ্ডলের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। অশান্তি চরমে ওঠায় মাস ছয়েক আগে বাপের বাড়ি চাঁপাপুকুরে চলে আসেন শ্রাবণী। তারপর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করত জামাই টুপাই।

জানা গেছে জামাইষষ্ঠীর আগের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত্রিবেলায় ফোন করে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী শ্রাবণী সহ তার বাবা-মা টুপাইকে জামাইষষ্ঠীতে আসতে বারণ করে। পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে। অভিমানে মঙ্গলবার রাতেই নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন টুপাই।

সেলের সদর দপ্তর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়, ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি অমিত মিত্রের

টুপাইয়ের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জামাইষষ্ঠীতে আসার জন্য শ্বশুর বাড়ি আত্মীয় স্বজনের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনে রেখেছিল। মৃত টুপাইয়ের বাবা ভূপেন মন্ডল, বৌমা ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

মৃত যুবকের বাবা ভূপেন মন্ডল বলেন, “একদিকে জামাইষষ্ঠী নিয়ে গণ্ডগোল। তার উপরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। এমনকি আমার ছেলেকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে ওরা। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।”

হাসনাবাদ থানার পুলিশ ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এর পিছনে শুধুই পারিবারিক গণ্ডগোল নাকি জামাইষষ্ঠীতে না আসতে পেরে সেই অভিমান থেকে আত্মঘাতী নাকি অন্য কোনো কারণ আছে- সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

সম্পর্কিত পোস্ট