ফর্মুলা ‘গেহলট’, বাজিমাতের স্বপ্ন কংগ্রেসে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কে হবেন কংগ্রেস সভাপতি? দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে নানান জল্পনা ক্রমশ ডালপালা মেলছে। শুধু বিরোধী শিবির নয়, শাসক বিজেপিও অধীর আগ্রহে কংগ্রেস সভাপতি কে হন তা জানার জন্য অপেক্ষা করছে।

কারণ সেই বুঝে তারা রণকৌশল ঠিক করবে। তবে এআইসির বেশিরভাগ নেতা পূর্ণ সময়ের সভাপতি হিসেবে সোনিয়া গান্ধিকে চাইলেও, সম্ভবত নতুন মুখ হাল ধরতে চলেছে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দলের।

কংগ্রেসের একটি সূত্র থেকেই জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ নেতা সোনিয়া গান্ধিকে পূর্ণ সময়ের সভাপতি পদে দেখতে চাইলেও, শারীরিক অসুস্থতা ও বয়সজনিত কারণে আর এই গুরুদায়িত্ব সামলাতে চাইছেন না সোনিয়া নিজে।

এদিকে রাহুল গান্ধিও এখনই কংগ্রেসের শীর্ষ পদে ফিরতে চান না। এই পরিস্থিতিতে সোনিয়ার পছন্দ রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। ফলে এই প্রবীণ নেতার হাত ধরেই কংগ্রেসে সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের একটানা শাসনের এবার অবসান ঘটতে পারে।

নেতাইয়ের ফুল্লরার জামিন, নেপথ্যে সুশান্ত ঘোষ

অশোক গেহলট এখনও সভাপতি হওয়ার বিষয়ে কোনও কথা না দিলেও, দলনেত্রী সোনিয়ার অনুরোধ তিনি ফেলতে পারবেন না বলেই বেশিরভাগের অনুমান। সেক্ষেত্রে অবশ্য মরু রাজ্যে গেলট বনাম শচীন পাইলটের যে অন্তর্দ্বন্দ্ব আছে তারও সুষ্ঠ সমাধান বের করে ফেলা সম্ভব হবে। কারণ তরুণ নেতা শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করে সেক্ষেত্রে দুই শিবিরেই ভারসাম্য রাখা যাবে।

এদিকে গান্ধি পরিবারের একান্ত আস্থাভাজন অশোক গেহলট সভাপতি হলে তিনি মূলত সংগঠনিক বিষয় দেখভাল করবেন। আর কংগ্রেসের মুখ হিসেবে তুলে ধরা হবে রাহুল গান্ধিকে, এটাই হল গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠদের পরিকল্পনা।

তবে গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মার মতো কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা কী চাইছেন সেটা খুব জরুরী। তাঁরা সভাপতি পদে গান্ধি পরিবারের আস্থাভাজন অশোক গেহলটকে মেনে নিলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি তার উল্টোটা হয় তবে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট