ভয়ে নাকি দায় ঝেড়ে ফেলার খেলা? কেষ্ট গ্রেফতার হতেই শুনশান বোলপুরের নিচুপট্টি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নানুরের গ্রামে জন্ম হলেও গত কয়েক দশক ধরে বোলপুর শহরের নিচুপট্টি এলাকায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়িতে থাকতেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর জন্য পাড়ার ভিতরের এই বাড়িটার সব সময় ভিড় লেগেই থাকত। সাহায্যপ্রার্থী সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বীরভূম জেলার ছোট থেকে মেজ সব তৃণমূল নেতারা ভিড় করতেন।
এমনকি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, রানা ব্যানার্জীরাও যখন তখন আসতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বদলে গিয়েছে ছবিটা। অনুব্রতর পাড়ার ধারবার মারাচ্ছেন না তৃণমূল নেতাদের কেউই।
সিবিআই সূত্রের খবর, শুধু অনুব্রত নয়, লাল মাটির জেলার আরও বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-বিধায়ক তাদের নিশানায় আছে। প্রয়োজন মতো তাদেরকেও ডেকে পাঠানো হবে। এই খবর জেলা তৃণমূল নেতাদের কাছে গিয়ে পৌঁছেছে। সকলের মনেই আতঙ্ক, এই যদি সিবিআই ডাকে। অনেকেই অনুব্রতর কোথায় কী আছে ভালো করে জানেন না। কিন্তু সিবিআইয়ের ভয়ে জেলার তৃণমূল নেতারা বলতে গেলে ‘গ্যারেজ’ হয়ে গিয়েছেন।
ক্যাশ-ই ফ্যাক্টর? পার্থ ট্রিটমেন্ট অনুব্রতকে নয়, তবে দায়ও নেই তৃণমূলের
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বিশ্বভারতীর গেস্ট হাউসে এসে সিবিআইয়ের দল ঘাঁটি গেড়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রমাদ গোনেন বীরভূমের তৃণমূল নেতারা। পরিস্থিতি যে সুবিধের নয় তা বুঝতে পারেন। তারপর থেকেই তাঁরা কেউ আর অনুব্রতর ফোন ধরেননি বা বাড়ির ধারে কাছে যাননি। এঁদের অনেকেই নেতা হয়েছিলেন মাথার উপর কেষ্ট মণ্ডলের হাত ছিল বলে।
কারণ গত এক দশক ধরে অনুব্রত না চাইলে বীরভূমে কেউ তৃণমূলের নেতা হবে এটা সম্ভব ছিল না। একমাত্র নানুরের কাজল মণ্ডল বোধহয় সেই বিরল তৃণমূল নেতা, যিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন অনুব্রতকে। সেই অনুব্রতর দুর্দিনে তাঁর কাছের মানুষেরা কেউ ফিরেও তাকাচ্ছেন না। বরং সকলেই কেষ্টর থেকে নিজেদের দূরত্ব প্রমাণে ব্যস্ত, তাতে যদি সিবিআইয়ের মন গলে!