২১ এর নির্বাচনে তৃণমূলকে তখত থেকে উৎখাত করতে সক্রিয় ভূমিকা নেবেন ‘কানন’! দাবি বিজেপির

দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  অমিত শাহের বঙ্গসফর দিয়ে ২০২১ এর ভোটযুদ্ধের যে বাদ্যি বেজে গিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এখনো দলবদলের পালা চলছেই। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত গোটা ঘাসফুল শিবির, তেমনি একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শোভন-বৈশাখীর গেরুয়া শিবিরে নিস্ক্রিয়তা নতুন করে বিতর্ক তৈরী করছে রাজনৈতিকমহলে।

তবে এখানেই রয়েছে টুইস্ট। এতদিন শোভন -বৈশাখী গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেও বরাবরই নিস্ক্রিয় থেকেছেন। বারংবার তাদের সক্রিয় করার চেষ্টা করা হলেও তাতে সাড়া দেননি তারা। ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়ত এই জুটি ফের ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন। এতে কার্যত শিলমোহর পড়েছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় স্বয়ং তাদের এবার পুজোর উপহার পাঠানোর পরই।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/governor-would-be-best-for-bjp-cm-candidate/

রণে ভঙ্গ দিয়ে এবার অমিত শাহের বঙ্গ সফরে দেখা মিলল তাদের। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া থেকে ফেরার পর রাতেই তাঁরা বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভন-বৈশাখীকে অমিতের সঙ্গে বৈঠকে বসাতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা এ রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন।

তবে বৈঠকে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। বিজেপির অন্দরে কানাঘুষো যা শোনা যাচ্ছে তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে হয়ত তৃণমূলকে তখত থেকে উৎখাত করতে গেরুয়া শিবিরে সক্রিয় ভূমিকা নেবেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ ‘কানন’। তবে বঙ্গ-রাজনীতিতে ২১ এর নির্বাচন ঘিরে এখন অনেক রঙ্গই অপেক্ষমান , বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

প্রসঙ্গত, বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে পরবর্তী সরকার গড়ব বিজেপিই। বাঁকুড়ার সভা থেকে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান বাড়ানোই হবে বিজেপি সরকারের মূল লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১.৩০ নাগাদ আকাশপথে বাঁকুড়ায় পৌঁছন অমিত শাহ। এরপরই সরাসরি পৌঁছে যান পুয়াবাগান এলাকায় বিরসা মুণ্ডার মূর্তির পাদদেশে। সেখানে তাঁকে পুস্পবৃষ্টি ও শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে স্বাগত জানান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাশেই তখন ধামসা-মাদলের তালে চলছে আদিবাসী নৃত্যের আসর।

এই সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষরাও রয়েছেন। তিনি মালদ্যান করেন বিরসা মুণ্ডার মূর্তিতে।

সেখানে তিনি বলেন, ‘বিরসা মুণ্ডাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলা সফর শুরু করলাম। গতকাল রাত থেকে বাংলার যেখানে যেখানে ছিলাম সব জায়গায় মানুষের উৎসাহ দেখেছি। প্রচুর অভ্যর্থনা পেয়েছি। এটা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, মমতা সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের সাংঘাতিক আক্রোশ তৈরি হয়েছে। আর নরেন্দ্র মোদির প্রতি তৈরি হয়েছে আশা ও শ্রদ্ধা।’

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/17-bjp-councilor-join-gorkha-janamukti-morcha/

সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হন অমিত শাহ। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের কারণেই প্রান্তিক মানুষরা কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলায় বিজেপির সরকার গঠনের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত বলে দাবি করে অমিত শাহ বলেন, ‘বিজপি কর্মীদের উপর যে ভাবে হামলা করা হচ্ছে, তাতে আমরা নিশ্চিত যে বাংলায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পরবর্তী সরকার গড়বে বিজেপি। সীমান্ত রাজ্য হওয়ায় দেশের নিরাপত্তা বাংলার নিরাপত্তার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। আমি দেখতে পাচ্ছি, পরিবর্তনের আশা জ্বলজ্বল করছে এখানকার মানুষের চোখে। তা একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই সম্ভব।’

সম্পর্কিত পোস্ট