তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ময়দানে শোভন-বৈশাখী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  দীর্ঘ ১৮ মাস বাদে অজ্ঞাত নির্বাসন থেকে বেরিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে বাংলার বুকে মেগা র‍্যালিতে অংশ নিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গ রাজনীতি শোভন বৈশাখী জুটিকে নিয়ে তোলপাড়।

একাধিকবার বিজেপি তরফে শোভন বৈশাখীকে সক্রিয় করার চেষ্টা করা হলেও কার্যত ব্যর্থ থেকেছেন তারা। তবে সোমবার নিজের স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে বেরিয়ে এসে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াইতে নামলেন একদা তৃণমূলের লড়াকু সৈনিক ও দিদির স্নেহের কানন।

যদিও তিনি এখন দিদির দলে নেই। তিনি নাম লিখিয়েছেন দাদার দলে সেই ২০১৯ সালেই। আর সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও সামিল হয়েছেন দাদার দলেই।

এই দুই হাইভোল্টেজ জুটিকে নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত ছিল না ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরে। গত সপ্তাহে বিজেপির হয়ে প্রচারে নামার কথা ছিল এই জুটির। তবে শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সেই মিছিলে দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও।

একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিড়ম্বনার হাত থেকে বাঁচতে সেই মিছিল পূর্ব নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা। পরে অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন মিছিলে ছিলেন না বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় তা জানান। দূর করেন সব সংশয়। তবে তাতেও আশঙ্কা ছিল আদৌ আজকের মিছিলে এই জুটিকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে !

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/the-astrologers-prediction-is-true-virat-koholi-father-of-a-baby-girl/

গত সপ্তাহের শোভন-বৈশাখী এই আচমকা সিদ্ধান্তের পর বিজেপির অন্দরে ব্যাপক ঝড় শুরু হয়। বিজেপির রাজ্য অফিস মুরলীধর সেন লেনে শোভন-বৈশাখীর জন্য বরাদ্দ অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

শোভন-বৈশাখীর আচরণ নিয়ে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন ওরা বিজেপির সুরে সুর মেলাতে পারছেন না। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায় হয়তো ফিরে আসতে পারেন পুরনো শিবিরেই।

কিন্তু সব জল্পনা জল ঢেলে সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে সক্রিয়ভাবে পথে নামতে দেখা গেল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

একদিকে কুনাল ঘোষ জনসভা থেকে একের পর এক তোপ দাগলেন যখন দলত্যাগী নেতাদের। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পাল্টা জবাব দেন দুজনেই।

মিছিল থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায় আজকে তৃণমূলের এই পর্যদুস্ত অবস্থার জন্য দায়ী একমাত্র কুনাল ঘোষ এবং চিটফান্ড কেলেঙ্কারি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবটাই জানেন। আমরা যখন তৃণমূল করতাম তখন পার্টির এই অবস্থা ছিল না।

এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্যের দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এতদিন কাজ না করে ভোটের মুখে এসে কাজ দেখাচ্ছে রাজ্যে শাসক শিবির। আর ক’দিন পর বাংলার মানুষ নবান্ন থেকে এই সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।

মিছিল শেষে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টির স্লোগান দিচ্ছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশাখীর সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগান দিলেন বিজেপি কর্মীরা । রাজনৈতিক মহলের মতে, শোভন বৈশাখীর এই সক্রিয়তা কলকাতার বুকে বিজেপিকে হালে পানি এনে দেবে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/para-teacher-protest-rally-at-kolkata-west-bengal/

রাজনৈতিক মহলের মতে শোভন চট্টোপাধ্যায় একজন দুঁদে রাজনীতিবিদ। গ্রাসরুট লেভেল থেকে রাজনীতি করে ওঠা এই মানুষটি জানেন কখন কোথায় কিভাবে বাজিমাত করতে হয়। যার জনপ্রিয়তা শাসক শিবিরে থাকাকালীন ব্যাপক ছিল। প্রত্যেকটি মানুষের সুযোগ-সুবিধা সব সময় পাশে থেকেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় নতুন করে বিজেপিতে তার স্বক্রিয়তা গেরুয়া শিবিরে লাভই বটে।

যত এগিয়ে আসছে নির্বাচন ততই এক চিলতে জমি ছাড়তে নারাজ হয়ে উঠছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেখানে নতুন করে একদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতৃত্বরা যখন বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন নিঃসন্দেহে শক্ত হচ্ছে বিজেপির মাটি।

তবে জনমানুষের কতটা বিশ্বাসযোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারবেন, একথা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ২০২১ এর নির্বাচনী ফলাফল অনেক না মেলা অঙ্ক মিলিয়ে দিতে পারেন বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট