দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে কড়া হন স্পিকাররা, টুইট বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল বনাম বিজেপি তরজার মাঝে এবার দলত্যাগীদের সদস্যপদ খারিজের দাবীতে সরব হলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। দলত্যাগীদের সদস্যপদ খারিজের দাবীতে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধীপক্ষ বিজেপি।
একদিকে দুই সাংসদ শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলের সদস্যপদ খারিজের দাবীতে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে বারবার আবেদন জানাচ্ছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের দলবদলের পর দলত্যাগ বিরোধী আইন আনতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক তারই মধ্যে সুজন চক্রবর্তীর এই টুইট সেই আলোচনায় ঘি ঢেলেছে।
নিজের টুইট নিয়ে বাম নেতার মন্তব্য, টুইট করাটা সংগত। যারা দলত্যাগ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন প্রযুক্ত হওয়া উচিত। এমনকি তাঁদের সদস্যপদ খারিজ হওয়া উচিত। তৃণমূলের দাবী সেদিক থেকে যথাযথ। কিন্তু বিধানসভায় যারা দলত্যাগ করেছেন তাঁদেরও পদ খারিজ হওয়া উচিত।
উত্তরবঙ্গ নিয়ে সংসদে যেতে চায় বিজেপি
এবিষয়ে বিজেপি বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করেন বাম নেতা । যিনি সিপি(আই)এম থেকে তৃণমূল এবং পরে বিজেপিতে যান। তিনি বলেন, সমস্ত তথ্য ও প্রমাণ নিয়ে স্পিকারের কাছে জমা দিই। ২৩ বার শুনানির পর ২৪ এবং ২৫ তম শুনানির তারিখ নির্বাচনের পর ঘোষণা করা হল৷ ২৩ বার আমার প্রতিপক্ষ উপস্থিত হয়নি। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি।
তাঁর সাফ বক্তব্য, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ দুটো জায়গাতেই দ্বিচারিতা হচ্ছে। স্পিকার তাঁর নিজের দায়িত্ব পালন করুক। দুটো জায়গাতেই আইন প্রণয়ন করা দকার। নাহলে গোটা ব্যাপারটা সংবিধান বিরোধী হয়ে যাবে।
বিধানসভায় এধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে অন্যান্য দল থেকে বিধায়কদের শিবির বদল করিয়েছে তৃণমূল৷ আবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক পদে ইস্তফা না দিয়েই দলবদল করেছে বিধায়করা৷
তালিকা নিয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার কথা নয়৷ কিন্তু বর্তমানে বিধায়ক ধরে রাখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতাদের। তাই বিধানসভায় প্রথমেই দলত্যাগ বিরোধী আইন আনতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারীরা।