রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা ঋণ দিলেও ব্যাপক নয়ছয়ের অভিযোগ ! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমীক্ষা বিশেষজ্ঞ সংস্থার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘুদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ প্রকল্পের সুযোগ যথাযথ ভাবে প্রাপকদের কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংখ্যালঘু প্রভাবিত মোট ছ’টি জেলায় বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হবে।
রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ এবং ২০-২১ আর্থিক বছরে যে যারা রাজ্যের অনগ্রস র শ্রেণী উন্নয়ন এবং বিত্ত নিগমের কাছ থেকে স্বনিযুক্তি প্রকল্পের জন্য ঋণ পেয়েছেন তাদের মধ্যেই এই সমীক্ষা চালানো হবে। ঋণ পাওয়ার পর তাঁদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কি পরিবর্তন ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষক দল পাঠানো হবে।
ছ’টি জেলায় অন্তত এক হাজার জন সুবিধা প্রাপকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ছবি ও নথিপত্র সহ সেই সংক্রান্ত তথ্য সমীক্ষকেরা দফতরের কাছে জমা দেবেন।তার ভিত্তিতে এই প্রকল্পের ভবিষ্যত রূপরেখা স্থির করা হবে।
- প্রকল্পের সুযোগ পাওয়ার পর প্রাপকদের কতটা আয় বৃদ্ধি হয়েছে,
- যে কাজের জন্য ঋণ নেওয়া হয়েছে সেই কাজ আদৌ হয়েছে কি না,
- ঋণ নিয়ে তৈরি সরঞ্জাম বাজারে বিক্রি করার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না,
- ঋণের টাকায় স্বাবলম্বী হওয়ার পর সামাজিক মান-মর্যাদা কতটা বেড়েছে,
- পরিবারের সদস্যদের শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটেছে কি না,
- ঋণ নেওয়ার পর পরিবারের সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়ল কি না- এই সব বিষয়ই খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে,রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা ঋণ দিলেও সেই অর্থের একটা বড় অংশ নয়ছয় হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীরা তো বটেই, খোদ শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরাদের একাংশও এই নিয়ে সরব হয়েছেন। স্বভাবতই সংখ্যালঘুদের অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়ল বয়সের ঊর্ধ্বসীমা
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার পর বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই লোকসভা নির্বাচন। বাংলার ভোটে সংখ্যালঘু উন্নয়ন একটা বড় বিষয়। যেটা বরাবরই রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের রাজনৈতিক হাতিয়ার। কিন্তু ভবিষ্যতে এই নিয়ে যাতে কোনও বিতর্কের অবকাশ না-থাকে, সেই জন্য ভুলত্রুটিগুলি চিহ্নিত করে সে সব আগেভাগে শুধরে নিতে চাইছে রাজ্য সরকার।