আকস্মিক রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা নিয়ে জল্পনা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার আকস্মিক রাজভবনে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পৈলান থেকে ফিরে সরাসরি রাজভবনে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী।এরপর রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রায় এক ঘন্টা একান্তে কথা হয়।
এরপর সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও কি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হল জানিয়ে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী কেউই মুখ খোলেননি। তবে রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন বোমার আঘাতে আক্রান্ত হওয়ার পর এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে গিয়ে এ বিষয়ে তাঁকে অবগত করে আসেন। যদিও রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যপালের কাছে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হলে বা খুন হলে তা নিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে সরব হয়েছেন একাধিকবার ঠিক সেইভাবে তাঁকে কোনওদিন সরব হতে দেখা যায়নি কোনও তৃণমূলকর্মী খুন হলে বা আক্রান্ত হলে।একই সঙ্গে বুধবার রাতে রাজ্যের মন্ত্রীর ওপর প্রাণঘাতী আক্রমণেই ঘটনায় আজ কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন রাজভবনে। এদিন জাকির হোসেনকে নিয়ে একটিও ট্যুইট করেননি। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়েই কার্যত তাঁর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন বলেই জানা গিয়েছে।
মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের
মুখ্যমন্ত্রী রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই সরাসরি এসএসকেএম হাসপাতালে উপস্থিত হন রাজ্যপাল। তিনি মন্ত্রী এবং মন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যের সরকারকেই বেঁধেন তিনি।
এদিন হাসপাতালে আহতদের দেখে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের রাজ্যপাল জানান, ‘আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। ১৩-১৪জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ জনের অবস্থা খুবই গুরুতর। হিংসা কখনই সমস্যার সমাধান করতে পারে না। এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হবে এমনটাই আশা রাখছি। দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক।
একইসঙ্গে গোটা বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি’। তিনি মনে করছেন এই ধরনের হিংসা ভয়াবহ। তাই এই হিংসার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।