লেক গার্ডেন্সে এক পড়শির মুখে থুতু, অভিযুক্ত প্রৌঢ়া ও ছেলে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না-ছড়ায়, সেই জন্য যত্রতত্র থুতু ফেলা বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ করছে পুলিশ-প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও রাস্তায় থুতু ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
যত্রতত্র কেউ থুতু ফেললে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করছে। আর সেই বিধি ভাঙা তো বটেই, এ বার একেবারে এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রীর গায়ে-মুখে থুতু ছেটানোর অভিযোগ উঠল পড়শির বিরুদ্ধে। বচসার জেরেই ওই প্রৌঢ়া পড়শি ও তাঁর ছেলে থুতু ছিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লেক গার্ডেন্স এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পড়শি ওই মহিলা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ (কটূক্তি করা), ৫০৬ (হুমকি দেওয়া), ২৬৯ (রোগ ছড়াতে পারে এমন কোনও কাজ করা) এবং ১১৪ (ঘটনাস্থলে থেকে অপরাধে উৎসাহ দান) ধারায় মামলা রুজু করেছে। অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু করেছে লেক থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন’, খিদিরপুর-পার্ক সার্কাসে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি ও তার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ার পর পরই ওই দুই পড়শির মধ্যে গোলমাল চরমে ওঠে।
যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি লেক গার্ডেন্সের একটি আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে ২২ বছর ধরে রয়েছেন। পেশায় বায়ো-মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি যে ফ্ল্যাটে থাকি, সেটা নিয়ে মালিকের সঙ্গে একটা মামলা চলছে। সেটা আলাদা বিষয়। তবে করোনা নিয়ে সতর্কতা এবং লকডাউন শুরু হওয়ার পর আমার পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া ও তাঁর ছেলে খোঁটা দিতে থাকেন।
বলেন, কেন আমি এখানে আছি, কেন আমি নিজের রাজ্যে চলে যাচ্ছি না।’
এই নিয়ে গন্ডগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বাইরে থেকে যে ব্যক্তি তাঁদের রেশন পৌঁছে দেন, যিনি বাঁকে করে জল দিয়ে যান, তাঁদেরও আবাসনে ঢুকতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। ফলে, আরও বিপাকে পড়েন ওই অভিযোগকারী।
ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করতে থাকেন প্রৌঢ়া।