Sri lanka Crisis : প্রতিবাদ রুখতে শ্রীলঙ্কায় বন্ধ হল সোশ্যাল মিডিয়া
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা ( Sri lanka Crisis ) বেশ কিছু মাস ধরেই। কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কার ( Sri lanka Crisis ) প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে বহু মানুষকে বিদ্যুতের অভাবে নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রীলঙ্কা সরকার দেশজুড়ে কারফিউ (curfew) জারি করেছিল। এরপর আওয়াজ বন্ধ হল শ্রীলঙ্কার সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media)। যেভাবে প্রতিমুহূর্তে শ্রীলঙ্কার সংকট বিশ্বের সামনে উঠে আসছে তাতে শ্রীলঙ্কা সরকার আতঙ্কিত। সেই আতঙ্ক দূর করতেই বন্ধ হল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও (Whatsapp)।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর প্রায়ই শ্রীলঙ্কাকে বিদ্যুৎ,খাদ্য এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অভাবের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসের এই সংকট এত বছরের সংকট গুলোর মধ্যে চরমতম। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় ( Sri lanka Crisis ) জারি আছে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ।
Sri lanka Crisis
রাস্তায় নেই আলো, খাদ্যের অভাব, পাম্পে নেই এক ফোঁটা ডিজেল। এছাড়াও শ্রীলঙ্কার অধিকাংশ হাসপাতালেই ওষুধের অভাব দেখা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা এখন অচল। সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ বলেছেন,শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই আদেশ এসেছে।
Covid-19 mutant XE : চিকিৎসকদের ঘুম কাড়তে এসে গেল করোনার নতুন প্রজাতি XE, আরও সংক্রামক…
কিছু বিরোধী পক্ষ এই আদেশের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলঙ্কার সংকটের বিরুদ্ধে বেশকিছু প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। পুলিশের মতে তাদের মধ্যে এক বিরোধীপক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুক্রবার। কারণ এই মুহূর্তে যে কোন বিক্ষোভের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরার অর্থ শ্রীলংকার পরিস্থিতি আরো জটিল করে তোলা।
কিছুদিন আগেই প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে বড় মানুষের বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকেই পরিস্থিতি আরো শোচনীয় হয়। এই অবস্থা সামাল দেওয়া পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ালে জারি করা হয় কারফিউ।
বিশেষজ্ঞদের মতে শ্রীলঙ্কা সরকারের আজ এই পরিস্থিতি তার নিজস্ব অবিবেচনামূলক কর ব্যবস্থার জন্য।তাই প্রসঙ্গত,এই অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা আপাতত কঠিন।